সাইটে ঢুকতে গেলেই ৪০৪ এরর দেখায়, এর অর্থ কী?
ইন্টারনেটে ব্রাউজ করতে গিয়ে হঠাৎ কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকতেই যদি ‘৪০৪ এরর’, ‘৪০৪ নট ফাউন্ড’ বা ‘দ্য রিকোয়েস্টেড ইউআরএল ওয়াজ নট ফাউন্ড ন দিজ সার্ভার’ লেখা দেখা যায়, তাহলে সেটি অনেক ব্যবহারকারীর কাছেই বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা। কিন্তু এই ৪০৪ এরর আসলে কী বোঝায়, কেনই বা এটি দেখা দেয় তা জানলে সমস্যাটি সহজেই বোঝা যায়।
৪০৪ এরর মূলত একটি এইচটিটিপি স্ট্যাটাস কোড, যার অর্থ হলো আপনি যে ওয়েবপেজটি খুঁজছেন, সেটি সার্ভারে পাওয়া যাচ্ছে না। সহজভাবে বললে, ওয়েবসাইটটি হয়তো চালু আছে, কিন্তু নির্দিষ্ট যে পাতাটিতে ঢুকতে চাইছেন, সেটি সেখানে আর নেই বা ভুল ঠিকানায় খোঁজা হচ্ছে।
সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো ভুল ইউআরএল (ইউআরএল)। অনেক সময় আমরা লিংক কপি করার সময় একটি অক্ষর বাদ দিই, অতিরিক্ত স্পেস যুক্ত হয়ে যায় বা ডোমেইনের শেষে ভুল এক্সটেনশন বসে যায়। এর ফলে সার্ভার বুঝতে পারে না কোন পাতাটি দেখাতে হবে এবং ৪০৪ এরর দেখায়।
আরেকটি বড় কারণ হলো ওয়েবপেজ মুছে ফেলা বা স্থান পরিবর্তন করা। অনেক ওয়েবসাইট নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট করে। পুরোনো কোনো আর্টিকেল বা পেজ ডিলিট করা হলে, অথবা নতুন ঠিকানায় সরিয়ে নেওয়া হলে আগের লিংকে ঢুকলে ৪০৪ এরর দেখা যায়। বিশেষ করে নিউজ পোর্টাল বা ব্লগে এই সমস্যা বেশি হয়।
৪০৪ এরর মানেই যে সাইট বন্ধ তা নয়। এটি মূলত একটি সংকেত, যা জানিয়ে দেয় যে নির্দিষ্ট পেজটি পাওয়া যাচ্ছে না। কখনো কখনো সার্ভার বা হোস্টিং কনফিগারেশন সমস্যার কারণেও ৪০৪ এরর দেখা দিতে পারে। ওয়েবসাইটের ফাইল সঠিক ফোল্ডারে না থাকলে, পারমিশন ঠিক না হলে বা .htaccess ফাইলে ভুল সেটিং থাকলে সার্ভার সংশ্লিষ্ট পেজ খুঁজে পায় না।
ব্যবহারকারীর দিক থেকে এটি বিরক্তিকর হলেও, ওয়েবসাইট মালিকদের জন্য ৪০৪ এরর আরও ক্ষতিকর। কারণ সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল বারবার ৪০৪ এরর পেলে সেই ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং কমিয়ে দিতে পারে। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাও খারাপ হয়, ফলে তারা দ্রুত সাইট ছেড়ে চলে যায়।
৪০৪ এরর দেখা দিলে সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবে প্রথমে ইউআরএল ঠিক আছে কি না যাচাই করা উচিত। এরপর ওয়েবসাইটের হোমপেজে গিয়ে সার্চ অপশন ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত তথ্য খোঁজা যেতে পারে। অনেক সময় ব্রাউজারের ক্যাশ পরিষ্কার করলেও সমস্যা মিটে যায়।
অন্যদিকে ওয়েবসাইট মালিকদের ক্ষেত্রে কাস্টম ৪০৪ পেজ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে ব্যবহারকারীকে হোমপেজের লিংক, সার্চ বক্স বা প্রয়োজনীয় অন্য পেজের দিকে নির্দেশ করা যায়। পাশাপাশি রিডাইরেক্ট ব্যবহার করে পুরোনো ইউআরএল থেকে নতুন ইউআরএলে পাঠানো হলে ৪০৪ সমস্যার প্রভাব অনেকটাই কমে।
আরও পড়ুন
সোশ্যাল মিডিয়া নজর রাখছে আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও
সত্যিই কি ভবিষ্যতে ফোন-কম্পিউটার থাকবে না?
সূত্র: টেক টার্গেট
কেএসকে/