মোবাইল ফোন আসক্তি কমাবেন যেভাবে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সারাক্ষণ কোনো না কোনো কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। তবে একবার মোবাইল ফোন হাতে নিলে কেটে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিংবা গেম খেলে দিন কেটে যাচ্ছে অনেকের। এতে পড়ালেখা এবং অন্যান্য কাজও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

রাত জেগে মোবাইল ব্যবহারে চোখ এবং শারীরিক অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন অভিজ্ঞতা প্রায় আমাদের সবারই হয়েছে। নিজের কাজে মন বসে না মোবাইল ফোনের নেশায়। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সক্রিয় রাখতে হবে মোবাইল ফোনের একটি বিশেষ মোড।

মোবাইল ফোনের ‘ফোকাস মোড’ কাজে লাগতে পারে। ‘ফোকাস মোড’ আসলে অ্যান্ড্রয়েডের ডিজিটাল ওয়েলবিং ফিচারের অংশ। ‘ফোকাস মোড’ অ্যাপের নোটিফিকেশন ব্লক করে কাজের দিকে মন দিতে সাহায্য করে। এটি ম্যানুয়ালি অ্যাক্টিভেট করতে পারবেন বা শিডিউলও করে রাখতে পারবেন। এটি অনেকটা আইফোনের ডু নট ডিস্টার্বের মত কাজ করে।

আরও পড়ুন: স্মার্টফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

‘ফোকাস মোড’ অ্যাক্টিভেট বা শিডিউল করলে আপনার মোবাইলের নির্দিষ্ট অ্যাপ ধূসর হয়ে যাবে। এই সব অ্যাপ থেকে কোনো নোটিফিকেশন পাওয়া যাবে না। যে কোনো সময় এই ‘ফোকাস মোড’ অ্যাক্টিভেট করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কীভাবে ‘ফোকাস মোড’ সেট করবেন তা জেনে নিন-

>> প্রথমে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংসে যান।
>> এরপর সেখান থেকে ডিজিটাল ওয়েলবিয়িংয়ে যেতে হবে।
>> সেখান থেকে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অপশনে গেলেই পাবেন ‘ফোকাস মোড’।
>> এই মোডে ট্যাপ করলেই অ্যাপের তালিকা পাবেন। সেগুলো সিলেক্ট করে নিন, যেগুলোতে ফোকাস মোড অ্যাক্টিভেট করা প্রয়োজন। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এভাবে বন্ধ করতে পারবেন।

শিডিউল করতে চাইলে যা করবনে
যদি আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়মিত ‘ফোকাস মোড’ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় করতে চান তাহলে সেট অ্যা শিডিউলে ট্যাপ করতে হবে। এরপরে সময় সিলেক্ট করতে হবে, তারপর ডেজ সিলেক্ট করুন। এরপর আপনি দিন নির্বাচন করবেন। এরপর সেটে ট্যাপ করতে হবে। এরপর ট্যাপ করতে হবে টার্ন অন নাও।

সূত্র: হাউ টু গিক

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।