বাংলাদেশে পেপাল-ওয়াইজ-স্ট্রাইপ চালুর দাবি ফ্রিল্যান্সারদের

দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়ছেন। তাই বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো জনপ্রিয় পেমেন্ট সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ও আইটি প্রফেশনাল কমিউনিটির’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার ও আইটি উদ্যোক্তা রয়েছেন। যারা প্রতি বছর একটি বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা রেমিট্যান্সে যুক্ত করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু এখনও বাংলাদেশে পেপাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো জনপ্রিয় পেমেন্ট সেবাগুলো চালু হয়নি, যার ফলে দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ছেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী রিমোট কাজের সুযোগ বাড়লেও বাংলাদেশে পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এদেশের ফ্রিল্যান্সাররা পিছিয়ে পড়ছেন। এ সময় তারা বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে পেপাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে একটি স্মারকলিপি জমা দেবেন বলে জানানো হয়। স্মারকলিপিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও আইটি খাতের অগ্রগতির জন্য আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেমের সহজলভ্যতা এখন সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবী এমরাজিনা ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এইচ এম ওসমান শাকিল, গোলাম কামরুজ্জামান, আতিকুর রহমান, সুমন সাহা, মিনহাজুল আসিফ, রাসেল খন্দকার, সাজিদ ইসলাম প্রমুখ।
আরএএস/এমআরএম/জিকেএস