দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইটের মহাকাশ যাত্রার অপেক্ষা


প্রকাশিত: ০৪:০২ এএম, ০৫ মে ২০১৭

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মহাকাশ ও টেলিযোগাযোগ খাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হতে যাচ্ছে। বহুপ্রতীক্ষিত দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইট ‘জিএসএটি-০৯’ আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় উৎক্ষেপণ করা হবে। স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ শেষে দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশের শীর্ষ নেতারা ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আজ সন্ধ্যায় গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লী থেকে এবং আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল এবং ভুটানের রাষ্ট্র প্রধান তাদের নিজ নিজ দেশ থেকে এ ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন।

দক্ষিণ এশীয় এ স্যাটেলাইটের নাম দেয়া হয়েছে ‘জিএসএটি-০৯’। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (আইএসআরও) এটি তৈরি করেছে। স্যাটেলাইটটির ওজন ২ হাজার ২৩০ কেজি। যা নির্মাণে ৩ বছর সময় লেগেছে।

স্যাটেলাইট ‘জিএসএটি-০৯’ দক্ষিণ এশীয় এসব দেশের মধ্যে টেলিযোগাযোগ, টেলি-মেডিসিন, টেলি-এডুকেশন এবং অন্যান্যের খাতে দ্রুত সেবা প্রদানে অবদান রাখবে। স্যাটেলাইটটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে আরও ঘনিষ্ঠ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এ ছাড়া তথ্য-উপাত্ত প্রদানের মাধ্যমে স্যাটেলাইটটি পানি সংরক্ষণ উদ্যোগ, আবহাওয়া বার্তা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্কবার্তা পাঠাতে সহায়তা করবে।

চলতি বছরের গত ২৩ মার্চ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সম্মেলন কক্ষে এ স্যাটেলাইট প্রকল্পে যোগ দিতে ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করে বাংলাদেশ। ওই চুক্তির ফলে বিনামূল্যে বিভিন্ন স্যাটেলাইট বেজ সার্ভিসের জন্য প্রস্তাবিত দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইটের (কেইউ ব্যান্ডে ১২টি ট্রান্সপন্ডার বিশিষ্ট জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট) ‘ক্যাপাসিটি’ ব্যবহার করতে পারবে বাংলাদেশ।

এ ছাড়া স্যাটেলাইটটির ১২টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্য থেকে বাংলাদেশ একটি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবে। ফলে বাংলাদেশ ট্রান্সপন্ডারটি কাস্টমাইজড করে নিজেদের মতো ব্যবহার করতে পারবে। তবে এর ডিজাইন, নির্মাণ, উৎক্ষেপণসহ সব কার্যক্রমে ব্যয়ভার বহন করবে ভারত।

আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।