টুইটারে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করার উপায়
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় আছে টুইটার। গত বছর ইলন মাস্কের মালিকানায় আসার পর থেকে সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না টুইটারের। টুইটারের জন্য মাস্কের খরচ হয় ৪৪ বিলিয়ন ডলার। এরপর থেকেই টালমাটাল অবস্থা লেগেই রয়েছে ওই মাইক্রো ব্লগিং সাইটে।
সেলিব্রেটি, রাজনীতিবিদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও ব্যবহার করছেন এই প্ল্যাটফর্ম। নিরাপত্তার জন্য ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো টুইটারেও ব্যবহার করতে পারেন টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন।
যে কোন অনলাইন অ্যাকাউন্টে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করে। অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ডের উপর পৃথক সুরক্ষা স্তর হিসাবে কাজ করে এই পদ্ধতি। টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করলে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
আরও পড়ুন: সত্যিই কি বদলে গেছে টুইটারের লোগো?
টু-স্টেপ অথেনটিকেশন অন করার পরে অ্যাকাউন্ট লগ ইন করতে পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরে আবার কিছু একটা দিতে হবে। সেটা কোন কোড অথবা ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন হতে পারে। ফলে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে অনেক।
চলুন দেখে নেওয়া যাক টুইটারে কীভাবে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করবেন-
>> এজন্য থার্ট পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। কারণ টুইটারে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের নিজস্ব ফিচার নেই।
>> আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে টুইটার ওয়েবসাইট ওপেন করুন।
>> আপনার অ্যাকাউন্ট খুলন।
>> এবার সেটিংস বিভাগে যান।
>> সিকিউরিটি অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস অপশনে দিয়ে সিকিউরিটিজ সিলেক্ট করুন।
>> এখান থেকেই টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন অপশন বেছে নিতে পারবেন।
>> টেক্সট মেসেজ অপশনটি বন্ধ আছে কি না নিশ্চিত হন।
>> এবার অথেনটিকেশন অ্যাপ চালু করে দিন।
>> অ্যাপটি ডাউনলোড করে টুইটার ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত কিউআর কোডটি স্ক্যান করুন।
>> এরপর ছয় সংখ্যার কোডটি দিন অ্যাকাউন্টে।
সূত্র: গ্যাজেট ৩৬০
কেএসকে/এমএস