জি-মেইল সম্পর্কে জানতেন না, আজ তিনি গুগলের সিইও

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গুগলের আজ ২৫তম জন্মদিন। ১৯৯৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি অধ্যয়নরত ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন নামের দুজন শিক্ষার্থীর হাতেই তৈরি হয়েছিল এই সার্চ ইঞ্জিন। এরপর পেরিয়ে গেছে ২৫ বছর। অনেক পরিবর্তন এসেছে গুগলে। অনেক নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে। শাখা-প্রশাখা হয়েছে গুগলের কাজে।

সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও এখন গুগলে যুক্ত হয়েছে এআই। গুগলের এই পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছেন ব্যবহারকারী এবং এর কর্মীরা। গুগলের পরিষেবা কেমন সে বিষয়ে গ্রাহকরা ভালো বলতে পারবেন তবে গুগলের যারা কর্মকর্তা, কর্মচারী আছেন তাদের অভিজ্ঞতা কেমন কখনো ভেবে দেখেছেন কি?

অনেকের মনেই এমন প্রশ্ন এসেছে, গুগলে যারা চাকরি করেন তারা আসলে কেমন। নিঃসংকোচে বলা যায় সেখানে কাজ করেন এক ঝাঁক মেধাবী মানুষ। আচ্ছা, তারা কি সারাক্ষণ কম্পিউটারে মুখ গুজে থাকেন। কেউ কি কারও সঙ্গে কথার সময় পান। অন্য জায়গার মতো এখানেও বসের ঝারি খেতে হয় কর্মীদের।

আরও পড়ুন: সার্চ ইঞ্জিন থেকে এআই, ২৫ বছরে গুগলের যত বদল 

গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই তার গুগলে ইন্টারভিউয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন এক সাক্ষাতকারে। সেখানে তিনি তার গুগলে ইন্টারভিউয়ের দিন কী কী ঘটেছিল তা বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘গুগলে আমি ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম ২০০৪ সালের পয়লা এপ্রিলে। তখন তারা মাত্রই জি-মেইল চালু করেছে। কিন্তু আমি তখনো জি-মেইল সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। ইন্টারভিউতে ওরা যখন আমাকে জি-মেইল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল, প্রথমে ভেবেছিলাম এটা একটা ‘এপ্রিল ফুল জোক’!

মনে আছে ইন্টারভিউয়ের মাঝখানে একজন আমাকে আইসক্রিম খেতে দিয়েছিল। সেদিনই বুঝেছিলাম, এই প্রতিষ্ঠানটা অন্যরকম। এখানে আমি অসাধারণ সব মানুষের সঙ্গে কাজ করি। একটা ঘরে যখন অস্বাভাবিক মেধাবী মানুষেরা তোমাকে ঘিরে থাকবে, তখন একটা সমস্যা হওয়া খুব স্বাভাবিক। আমরা এটাকে বলি ‘ইম্পোস্টার সিনড্রোম’। এসব ক্ষেত্রে মনে হয়, আমি বোধ হয় এই রুমে থাকার যোগ্য না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা ক্লাসরুমে অনেক শিক্ষার্থীরও এ সমস্যা হয়। আমি বলব, অন্যের দিকে মন না দিয়ে নিজের কাজটার প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত’।

জি-মেইল সম্পর্কে কোনো উত্তর দিতে না পারলেও সুন্দর পিচাই গুগলে চাকরি পেয়েছিলেন। ১১ বছর পর সেই চাকরিই তাকে করেছে পৃথিবী বিখ্যাত। গুগলের সিইও এখন তিনি।

সুন্দর পিচাই আরও বলেছিলেন, ২০০৩ সালে তিনি গুগলে কীভাবে চাকরি পাওয়া যায়, কীভাবে ইন্টারভিউ দেওয়া যায়, তা গুগলেই সার্চ করে জানতে চাইতেন। সেসময় তিনি গুগলের একজন নিয়মিত ব্যবহারকারী ছিলেন। পরের বছর অর্থাৎ ২০০৪ সালেই গুগলে যোগ দেন তিনি। এরপর ২০১৫ সালে গুগলের সিইও হন তিনি।

সূত্র: অফিসচাই, হিন্দুস্থান টাইমস

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।