গাড়ির নিচের অংশে জং ধরলে যা করবেন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত

অনেক সময় দেখা যায় গাড়িতে জং বা মরিচা ধরেছে। বিভিন্ন কারণে এমনটা হতে পারে। গাড়িতে জং ধরার সমস্যা খুবই সাধারণ। যদিও এতে গাড়ির রঙের পাশাপাশি গাড়ির নানা ধাতব অংশও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমাদের মতো দেশে যেখানে জলীয় বাষ্পের সমস্যা সারা বছরই লেগে থাকে, সেখানে গাড়িতে জং ধরা খুবই সাধারণ।

সাধারণত লোহা এবং অক্সিজেন পানির সংস্পর্শে আসে তখন রাসায়নিক বিক্রিয়ার দরুন জংয়ের সমস্যা হয়। এটি ধাতুর ওপরের অংশ বাদামি রঙের একটি আস্তরণ। যেহেতু বেশিরভাগ সময় গাড়ি বৃষ্টি, রোদ, ধুলোবালির সংস্পর্শে আসে তাই গাড়িতে জং ধরা ঠেকানো প্রায় অসম্ভব বললেই হয়।

বিশেষ করে গাড়ির নিচের অংশেই জং বা মরিচা ধরে বেশি। কারণ ধুলা, বালি, কাদার উপর দিয়ে যায়। রাস্তার জমা পানি লাগে। ফলে ধাতুতে সহজেই মরচে পড়ে যায়। তাছাড়া আবহাওয়াও বড় কারণ। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে মরচে পড়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

এজন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, গাড়িতে আন্ডারকোটিং করাতে। এটি গাড়ির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে মেরামতের খরচ কমবে। আন্ডারকোটিং হল সুরক্ষামূলক স্তর। গাড়ির নিচের অংশে লাগানো হয়। এটাই মরচে পড়া আটকায়।

বেশিরভাগ গাড়িতেই এখন আর সাধারণ স্টিল ব্যবহার করা হয় না, অ্যালুমিনিয়াম বা প্লাস্টিকের মতো মরিচা প্রতিরোধী উপকরণই দেওয়া হয়। কারণ স্টিলে সহজেই মরচে পড়ে। আধুনিক মডেলের গাড়িতে ফ্যাক্টরি থেকেই মরচে প্রতিরোধী কোটিং দিয়ে দেয়।

যে সব গাড়ি জিঙ্ক-আয়রন অ্যালয় ধাতুর অর্থাৎ গ্যালভানাইজড স্টিল দিয়ে তৈরি, সেগুলোতে মরচে প্রতিরোধী কোটিং করানোর দরকার নেই। আধুনিক মডেলের গাড়িগুলোতে অতিরিক্ত অন্ডারকোটিংয়ের প্রয়োজন হয় না বললেই চলে।

রাস্ট প্রুফিং না কি আন্ডারকোটিং

রাস্ট প্রুফিংকে রাস্ট প্রোটেকশনও বলা হয়। যাইহোক, এতে গাড়ির কিছু অংশে মোমের স্তর দেওয়া হয়। বিশেষ করে ফেন্ডার, টেলগেট এবং বডি প্যানেলে। আর আন্ডারকোটিং হল স্প্রে অন পদ্ধতি। গাড়ির নীচে অংশে করা হয়। এতে বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়।

গাড়িতে আন্ডারকোটিং করালে সঠিক কোটিং নির্বাচন করা জরুরি। আবহাওয়া, পরিবেশ, গাড়ির ধাতুর ধরন এবং চালক কী ধরনের নিরাপত্তা চান, এই সব কিছুর উপর গোটা বিষয়টা নির্ভর করে। রাবার-ভিত্তিক অন্ডারকোটিং শুকানোর পর নরম হয়ে যায়। সহজে তোলাও যায়। ওয়্যাক্স-ভিত্তিক অন্ডারকোটিং সবচেয়ে কমে হয়। তাড়াতাড়ি করাও যায়। তবে বারবার লাগাতে হয়।

সূত্র: নিউজ১৮

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।