তাজমহল নির্মাণের পর সত্যিই কি শ্রমিকদের হাত কেটে দেওয়া হয়েছিল?

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪০ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

তাজমহল একটি সুন্দর স্মৃতিস্তম্ভ। এটি এমন একটি ভবন, যেটি মুঘল আমলের প্রতিনিধিত্ব করে। শুধু তাই নয়, ভালোবাসারও প্রতীক এটি।

তাজমহলের সৌন্দর্য দেখে সবাই এর প্রেমে পড়ে যায়। এ কারণেই প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ এই আশ্চর্য স্মৃতিস্তম্ভ দেখতে আগ্রায় ভিড় করেন।

সম্রাট শাহজাহান তার তৃতীয় স্ত্রী মমতাজের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে এই স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেন। সম্রাতের প্রিয়তমা চতুর্দশ সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মারা যান।

কথিত আছে, শাহজাহান তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর এতোটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে, তার চুল ও দাড়ি কিছু দিনের মধ্যে সাদা হয়ে গিয়েছিল। এরপর তিনি তাজমহল নির্মাণ করেন, যাকে বলা হয় বিশ্বের বিস্ময়।

এই স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে নানা ধরনের কুসংস্কার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক প্রচলিত কোন তথ্যগুলো ভুল আর কোনটি সত্য-

শাহজাহানের সমাধি

তাজমহলে মমতাজের একটি সমাধি আছে, সে সম্পর্কে সবাই জানেন। তবে সত্যটি হলো শাহজাহানের সমাধিও এখানে নির্মিত। যদিও আজও তাজমহল মমতাজের সমাধি হিসেবেই পরিচিত।

বাইরে থেকে এসেছেন কারিগররা

দেশি-বিদেশি শ্রমিকরা দিন-রাত পরিশ্রম করে তাজমহল নির্মাণ করেন। এর নির্মাণের জন্য, রাজমিস্ত্রি, পাথর কাটার কারিগর, ছুতোর, চিত্রকর, গম্বুজ নির্মাতা ও অন্যান্য কারিগরদের সারা মুঘল সাম্রাজ্য, মধ্য এশিয়া ও ইরান থেকে ডাকা হয়েছিল।

এর প্রধান স্থপতি ছিলেন ওস্তাদ আহমদ লাহোরি। ঐতিহাসিক নথি অনুসারে, তাজমহল নির্মাণের জন্য ২০ হাজার কারিগর নিযুক্ত করা হয়েছিল।

জনশ্রুতি আছে, তাজমহল তৈরির পর সম্রাট শাহজাহান শ্রমিকদের হাত কেটে ফেলেন। যাতে এ ধরনের স্মৃতিস্তম্ভ তারা আর তৈরি করতে না পারেন।

তবে ইতিহাসবিদদের মতে, এই কাহিনি মোটেও সত্য নয়, সম্পূর্ণ মিথ্যা। শাহজাহান কখনো শ্রমিকদের হাত কেটে ফেলার নির্দেশ দেননি।

তাজমহলের রং বদলায়

আপনি কি জানেন, তাজমহল দিনে কয়েকবার তার রং পরিবর্তন করে? তাজমহল সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি, তাই সূর্যের আলো এতে পড়লে হলুদ হয়ে যায়। একই সময়ে এটি সন্ধ্যায় নীল দেখাতে শুরু করে।

সূত্র: প্রেসওয়ার ১৮

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।