বিশ্বের একমাত্র দশ তারকা হোটেল

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৮ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৪

তিন তারকা বা পাঁচ তারকা হোটেলে থাকার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে, তবে কখনো কি দশ তারকা হোটেলের কথা শুনেছেন?

জানলে অবাক হবেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মাত্র একটিই আছে এমন দশ তারকা হোটেল। সেখানকার একেকটি রুমই যেন রাজপ্রাসাদ। এই দশ তারকা হোটেলের অবস্থান দুবাইয়ে।

শীতে হিমাচল ভ্রমণে ঘুরে দেখুন জনপ্রিয় ৬ স্পট

দুবাইয়ের নাম শুনলেই মনে প্রথম যে ভাবনাটি আসে সেটি হলো বুর্জ খলিফা। সেখানকার সবচেয়ে উঁচু ভবনের ছবি যেন সদা চোখের সামনে ভাসতে থাকে।

আর এই বুর্জ খলিফার ভেতরেই আছে এমন একটি হোটেল, যা কি না বিশ্বের একমাত্র ১০ তারকা হোটেল হিসাবে পরিচিত হবে। হ্যাঁ দুবাইয়ের বুর্জ আল-আরব হোটেলটি প্রায় সব দিক দিয়েই অসাধারণ।

এখানকার ঘরগুলো দেখতে হুবহু প্রাসাদের মতো। ৩২১ মিটার উঁচু বুর্জ আল-আরব বিশ্বের একমাত্র ১০ তারা হোটেল। এর ভাড়া প্রায় ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়।

ভাড়ার কথা শুনে অনেকেই আঁতকে উঠবেন বটে, তবে ইটি সত্যিই। এর ভেতরে ঢোকা অসম্ভব। তাই বাইরে থেকেই হয়তো হোটেলটি দেখে মনকে সান্ত্বনা দিতে হবে।

আরও পড়ুন: বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ বাড়ি

হোটেলটি ১৯৯৯ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এটি দেখতে হুবহু নৌকার পালের মতো। হোটেলটি তৈরি করা হয়েছে একটি ম্যান-ম্যাড আইল্যান্ডের ওপর। এই হোটেল তৈরি করতে খরচ পড়েছিল আনুমানিক ১ বিলিয়ন ডলার।

এই হোটেলের প্রতিটি ঘরই হলো স্যুট। এছাড়া ব্যক্তিগত সমুদ্রসৈকতসহ ১৯৯টি বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স ও পুলসহ সুন্দর টেরেস আছে।

এই হোটেলের পরিষেবাগুলোও অত্যন্ত বিলাসবহুল। এখানে বিনামূল্যে পার্কিং, পুল, বার/লাউঞ্জ, ওয়াটার পার্ক, হট বাথ ও ইনফিনিটি পুল আছে।

আরও পড়ুন: বিশ্বের যে ৮ দেশে গিয়ে স্থায়ী হতে পারবেন সহজেই

এছাড়া ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকসহ আপনাকে ফিটনেস রুম, স্পা, ভিউসহ পুল ও ব্রেকফাস্ট বুফে দেওয়া হয়। আরও আছে একটি সুইম-আপ বার, রুফটপ বার, কাপল ম্যাসাজ, ফুল বডি ম্যাসাজ পার্লার।

বুর্জ আল-আরবে বেবি সিটিং, স্পেশাল ডায়েট মেনু, পুলসাইড বার, হেড ম্যাসাজ, ম্যাসাজ ও স্টিম রুমও দেওয়া হয়।

সূত্র: ট্রিপ অ্যাডভাইজার্স/ বিজনেস ইনসাইডার

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।