পর্যটনশিল্পে বিপর্যয়, ভারতেই কর্মহীন হতে পারে ৫ কোটি মানুষ
করোনাভাইরাসের ভয়াবহ আঘাতে স্থবির গোটা বিশ্ব। শুধু মানুষকে শারীরিকভাবে আঘাত করেনি প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। বিশ্বের সকল ব্যবস্থাপনা, শিল্প ও অর্থনীতির ওপর মারাত্মক আঘাত করেছে এ মহামারি। বিশ্বব্যাপী বন্ধ হয়ে আছে মানুষের সব ধরনের যাতায়াত যোগাযোগ। ফলে এর কামড়ে যদি সবচেয়ে বেশি কোনো শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে সেটা পর্যটন শিল্প।
বিশ্বব্যাপী লকডাউনের জেরে অতিমাত্রায় ভ্রমণপিপাসুরাও বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। এতে বিশ্বব্যাপী পর্যটন আয় শূন্য ঘরে গিয়ে ঠেকেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভর করে যাদের রুটিরুজি সেসব মানুষেরা। গোটা বিশ্বেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে। পর্যটন বন্ধ হওয়ায় শুধুমাত্র ভারতেই ৫ কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা, অন্য দেশের তুলনায় ভারতের পর্যটন শিল্পের ওপর করোনার প্রভাব বেশি পড়বে। তারা বলছেন, সরকার যদি দ্রুত আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা না করে, তাহলে লকডাউনের পরবর্তী সময়ে দেশের অন্তত ৫ কোটি মানুষ কাজ হারাতে পারেন। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখেছেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অন্তত ১০টি সংগঠনের কর্তারা।
ভারতের সামার ট্যুর ফেডারেশন নামের একটি সংস্থার ব্যানারে একত্রিত হয়ে ১০ সংস্থার শীর্ষ কর্তারা বলছেন, করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউনের জেরে পর্যটন শিল্পের অবস্থা করুণ।
এই ১০টি সংস্থার কর্তারা শনিবার কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব যোগেন্দ্র ত্রিপাঠির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করেন। সেখানে, এই শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। মন্ত্রণালয়কে পর্যটন সংস্থাগুলোর কর্তারা জানিয়েছেন, কেন্দ্র যদি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা না করে, তাহলে অন্তত ৫ কোটি মানুষ কর্মহীন হবেন।
করোনা আতঙ্কে বছরের শুরু থেকেই কমেছে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আনাগোনা। লকডাউনের পর পুরো বন্ধ পর্যটন। যা কি না অনেকের ঘরে অন্ধকার ডেকে এনেছে। এই সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে পর্যটন সংস্থাগুলো সরকারের কাছে ২০ দফা দাবি পেশ করেছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কর্মীদের বেতনের জন্য আর্থিক সাহায্য, আগামী এক বছর পুরোপুরি কর ছাড়, বিমানের টিকিট বাতিলে পুরো টাকা ফেরত, জিএসটি মাফ ইত্যাদি। যদিও এ নিয়ে সরকার এখনও নিজেদের অবস্থান জানায়নি।
এফআর/এমকেএইচ