মালয়েশিয়া ভ্রমণে যে ৫ স্থান ঘুরে আসতে ভুলবেন না

ভ্রমণ ডেস্ক
ভ্রমণ ডেস্ক ভ্রমণ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২৪
ল্যাংকাউই ভ্রমণ হতে পারে শ্বাসরুদ্ধকর

ল্যাংকাউই হলো মালয়েশিয়ার একটি দ্বীপপুঞ্জ ও একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় স্বর্গ, সেখানকার অত্যাশ্চর্য সমুদ্রসৈকত, দমবন্ধকর রেইনফরেস্ট ও প্রাণবন্ত সংস্কৃতির কদর আছে বিশ্বজুড়ে। তাই ল্যাংকাউই ভ্রমণ হতে পারে শ্বাসরুদ্ধকর। প্রকৃতিপ্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের জন্য স্থানটি বেশ আকর্ষণীয়।

হলিউড কিংবা বলিউডের অনেক তারকাই এজন্য ছুটি কাটাতে বেছে নেন স্থানটি। সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ছুটি কাটাতে দ্বীপে গেছেন।

দ্বীপের সামুদ্রিক জীবন অন্বেষণ থেকে শুরু করে মনোরম সৈকতে বিশ্রাম নেওয়া পর্যন্ত, নানা বিষয়ের অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন সেখানে। জেনে নিন মালয়েশিয়ার ল্যাংকাউই দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণে আরও কী কী দেখবেন-

ল্যাংকাউই স্কাই ব্রিজ

ল্যাংকাউই স্কাই ব্রিজ হলো একটি ১২৫ মিটার দীর্ঘ বাঁকা সেতু। এর আশপাশে রেইনফরেস্ট ও সমুদ্রের মনোরম দৃশ্য। এই সেতু দেখতে হাজারো পর্যটক ভিড় করেন সেখানে। ল্যাংকাউই থেকে কেবলকারের মাধ্যমে এই ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন আপনি।

আন্ডারওয়াটার ওয়ার্ল্ড ল্যাংকাউই

আন্ডারওয়াটার ওয়ার্ল্ড ল্যাংকাউই এশিয়ার বৃহত্তম সামুদ্রিক ও মিঠা পানির অ্যাকোয়ারিয়ামগুলোর মধ্যে একটি। সেখানে আপনি দেখতে পাবেন হাঙর, স্টিংরে, রঙিন মাছসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক জীবন। যা দেখে আপনি বিস্মিত হবেন মুহূর্তেই।

আরও পড়ুন

•বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেস্টুরেন্টে বসে খেতে কোথায় যাবেন? 
•বিশ্বের বিপজ্জনক সেতু দেখতে ভিড় করেন লাখ লাখ পর্যটক 

অ্যাকোয়ারিয়ামটিতে একটি ১৫ মিটার-লম্বা টানেলও আছে, যার মাধ্যমে আপনি পানির নীচের বাস্তুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হাঁটতে পারবেন ও খুব কাছ থেকে সামুদ্রিক জীবন পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

তানজুং রু বিচ

তানজুং রু বিচ একটি নির্জন সৈকত। স্ফটিক-স্বচ্ছ পানি ও আদিম সাদা বালির জন্য পরিচিত এই বিচ। এই সমুদ্রসৈকত ম্যানগ্রোভ বন ও চুনাপাথরের ক্লিফ দ্বারা বেষ্টিত। নিরিবিলি ও কোয়ালিটিফুল সময় কাটানোর জন্য এই বিচ হতে পারে সেরা।

ম্যানগ্রোভে ভ্রমণ

ম্যানগ্রোভ ট্যুর হলো ল্যাংকাউইয়ের অনন্য ইকোসিস্টেম ও বন্যপ্রাণী অন্বেষণ করার একটি দুর্দান্ত উপায়। আপনি ম্যানগ্রোভ বনের মধ্য দিয়ে একটি নৌকায় যাত্রা করতে পারেন।

বাদুড়ের গুহায় যেতে পারেন, এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী যেমন ঈগল, বানর ও ওটার দেখতে পারেন। এই ট্যুরগুলো অভিজ্ঞ গাইডদের দ্বারা পরিচালিত হয়, ফলে ভয়ের কোনো কারণও নেই।

মাহসুরি সমাধি

মাহসুরি সমাধি কিংবদন্তি রাজকুমারী মাহসুরির জন্য তৈরি একটি ঐতিহাসিক স্থান। সমাধিটি একটি সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ বাগান দ্বারা বেষ্টিত। এই স্থান ল্যাংকাউইয়ের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

সূত্র: এনডিটিভি

জেএমএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।