চলে গেলেন চাষী নজরুল ইসলাম

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা চাষী নজরুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। একুশে পদক পাওয়া প্রখ্যাত এ চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ধরেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর চিকিৎসক সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন বলেন, রোববার ভোর পাঁচটা ৫১ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আশে শনিবার সকাল থেকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ ছিলেন চাষী নজরুল।
চিকিৎসক সৈয়দ আকরাম শনিবার জানিয়েছিলেন, সকাল ১০টার দিকে চাষী নজরুলের রক্তচাপ মারাত্মকভাবে কমে যায়। তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও খুব কষ্ট হচ্ছিল। এ অবস্থায় কৃত্রিমভাবেই তাঁর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়।
গত বুধবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সাধারণ কেবিন থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
গত বছরের মে মাস থেকে চিকিৎসক সৈয়দ আকরামের তত্ত্বাবধানে ছিলেন চাষী নজরুল। কয়েক মাস ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। কয়েকবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে যান।
১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ ও ১৯৯৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া ২০০৪ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।
চাষী নজরুল ইসলাম সব মিলিয়ে ৩৫টির মতো ছবি নির্মাণ করেন। এর মধ্যে ছয়টি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক। তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো—‘সংগ্রাম’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘ধ্রুবতারা’, ‘শহীদ ক্যাপ্টেন সালাউদ্দীন’, ‘দেবদাস’, ‘শুভদা’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘হাছন রাজা’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’ ইত্যাদি।