ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গভীর রাতে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কনক কাান্তি দাস ও সদর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মিজানুর রহমান মাসুমের বাড়িতে এ ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা। এছাড়া কনক কান্তি দাসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
কনক কান্তি দাসের ভাই গোপাল কৃষ্ণ দাস জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে বিক্ষুব্ধ শতাধিক লোকজন। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় তারা আসবাবপত্র বের করে বাড়ির সামনে অগ্নিসংযোগ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে গোপাল কৃষ্ণ দাস পেছনের দরজা দিয়ে বাড়ি থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর কিছুক্ষণ পরেই জেলা শহরের নতুন হাটখোলা সড়কের পাশে ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। মিজানুর রহমান মাসুম ঝিনাইদহ সদর পৌর আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি ছিলেন।
জানা গেছে, ২৪ এর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর কনক কান্তি দাস সপরিবারে আত্মগোপনে চলে যান।
এদিকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষুব্ধ জনতা মধ্যরাতে মিছিল বের করে। পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এম শাহজাহান/এনএইচআর/এমএস