খুলনা মহানগরীর যানজট এবং দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ব্যাটরি চালিত অটোরিকশা (ইজিবাইক) চলাচলের উপর শর্তারোপ করা হয়েছে। শর্তানুযায়ী নগরীতে নির্ধারিত রুটে মাত্র পাঁচ হাজার ইজিবাইক চলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে প্রশাসন। আগামী ২০ মে থেকে নির্ধারিত লাল রঙ চিহ্নিত ইজিবাইকই নগরীতে চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া ইজিবাইকের বিপনন বন্ধে নগরীর বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে সীলগালা ও ট্রেড লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।বুধবার বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় রূপসাঘাট-পিটিআই মোড়-রয়েল মোড় হয়ে ফেরীঘাট (খানজাহান আলী রোড) থেকে জোড়াগেট পর্যন্ত এবং রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে স্ট্যান্ড রোড-কয়লাঘাট-কাস্টমঘাট হয়ে জিলা স্কুলের সামনে হয়ে পিকচার প্যালেস মোড়-ডাকবাংলা মোড় হয়ে ফেরীঘাট পর্যন্ত ইজিবাইক চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মূলত যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব সিদ্ধান্ত সরকারকে অবহিতকরণেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া জনসাধারণের চলাচল সুবিধার্থে বিআরটিসি বাস চালু ও নগর পরিবহন বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দেন বিভাগীয় কমিশনার। এদিকে নগরীতে ইজিবাইক চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে ভূইফোড় শ্রমিক সংগঠণগুলোর নেতা ও এসব সংগঠনের আশ্রয়দাতা খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের হাতে গোনা ২/৩ জন শীর্ষ নেতা বিপাকে পড়েছেন। সভায় সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, কেএমপি কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল আহসান, জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ মো. হারুনুর রশিদ, কেসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আনিসুর রহমান বিশ্বাস, র্যাব-৬ অধিনায়ক মো. রফিকুর ইসলাম এবং অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার সিএ হালিমসহ বিআরটিএ ও বিজিবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আলমগীর হান্নান/এফএ/এবিএস