বালুচরে মিষ্টি কুমড়া চাষ, ফলনে খুশি কৃষক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ১০:২৪ এএম, ০৪ মে ২০২৫
তিস্তার চরে এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন, ছবি: জাগো নিউজ

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে বেশ চাহিদা ও আশানুরূপ দাম পাওয়ায় খুশি তিস্তাপাড়ের কৃষকেরা। তবে বাজারজাত করার ব্যবস্থা করা গেলে বেশি লাভবান হতেন চাষিরা।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছর লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় চরাঞ্চল ও সমতলে ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে নানা জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে কুমড়ার ফলন পাওয়া যায় ২৫-৩০ মেট্রিক টন। ৮০ শতাংশ কুমড়া উৎপন্ন হচ্ছে তিস্তা নদীর বালুচরে।

বিজ্ঞাপন

বালুচরে মিষ্টি কুমড়া চাষ, ফলনে খুশি কৃষক

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার শৈলমারী চর এলাকার কৃষক আশরাফুল রিফাত বলেন, ‘আগে বালুচরে ফসল ফলানো যেত না। পানি নেমে যাওয়ার পর পরিত্যক্ত থাকতো। প্রতি কেজি কুমড়া উৎপাদনে খরচ হয় ৬-৭ টাকা। গত বছর প্রতি কেজি কুমড়া বিক্রি করেছি ১৭-১৮ টাকা কেজি দরে। এ বছর বিক্রি হচ্ছে ১১-১২ টাকা। এক জমিতে ৩ হাজার কেজি কুমড়া উৎপাদন করেছি। এতে খরচ হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। গত বছরের মতো দাম পেলে কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হতাম।’

সদর উপজেলার কালমাটির চরের বাসিন্দা রজমান মুন্সি এলাকার কৃষক নাদিরুল ইসলাম বলেন, ‘৪ বিঘা জমি থেকে ১২ হাজার ৫০০ কেজি কুমড়া পেয়েছি। এ বছর দাম কম হওয়ায় অর্ধেক কুমড়া বিক্রি করেছি। অর্ধেক কুমড়া বাড়িতে সংরক্ষণ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশানুরূপ ফলন হয়েছে। যেসব বালুচরে আগে কোনো ফসল হতো না; সেখানে কুমড়া চাষ করছি।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বালুচরে মিষ্টি কুমড়া চাষ, ফলনে খুশি কৃষক

কালীগঞ্জ উপজেলার চর ভোটমারী এলাকার কৃষক শামসুল আলম বলেন, ‘২৫ জন কৃষকের গ্রুপ তৈরি করে তিস্তার বালুচরে কুমড়া, তরমুজ, ভুট্টা, বাদাম ও মিষ্টি আলু চাষ করেছি। এ বছর ১ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ করে ফলন পেয়েছি ২৪ মেট্রিক টন। কুমড়ার ফলনে খুশি হয়েছি। তবে বাজারজাত করার ভালো ব্যবস্থা না থাকায় বেশি লাভবান হতে পারছি না।’

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপরিচালক ড. সাইখুল আরিফিন বলেন, ‘এ বছর আলুর দাম কম হওয়ায় কুমড়ার দামও কমেছে। চাষিরা একসাথে কুমড়া হার্ভেস্ট করায় সরবরাহ বেড়ে যায়। যত্ন করে রাখলে বাড়িতে ৬-৭ মাস সংরক্ষণ করা যায়। অধিকাংশ চাষির নগদ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় কুমড়া সংরক্ষণ করতে পারেন না।’

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।