হাঁস পালনে নারীদের রোল মডেল খোকসার শিরিনা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ২৯ জুন ২০২৫
হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন গৃহবধূ শিরিনা, ছবি: জাগো নিউজ

মুষ্টির চাল বিক্রির টাকা দিয়ে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে এক জোড়া হাঁস কিনে পালতে শুরু করেছিলেন গৃহবধূ শিরিনা খাতুন। সেই হাঁস থেকে ১০ বছরের মাথায় পূর্ণবয়স্ক হাঁস ও ডিম বিক্রি করে তার বছরের আয় এখন প্রায় ৫০ হাজার টাকা। খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের খর্দ্দোসাধুয়া গ্রামের কৃষক রেজেক আলীর স্ত্রী শিরিনা খাতুন এখন স্বাবলম্বী।

জানা যায়, সংসারের কাজ শেষে ঘরে বসেই সময় কাটতো শিরিনার। ফেরিওয়ালার মাইকে প্রচার শুনে হাঁসের বাচ্চা পালনে শখ জাগে। কয়েক সপ্তাহ ধরে জমানো মুষ্টির চাল বিক্রির সাড়ে তিনশ টাকায় এক জোড়া হাঁসের বাচ্চা কেনেন। কয়েক মাস পরে হাঁসের ডিম বিক্রির টাকা দিয়ে আরও এক জোড়া হাঁস কেনেন। বর্ষা মৌসুমে বিলের পানি থাকা পর্যন্ত হাঁস পালন করেন। এ ছাড়া ডিম দেওয়ার কয়েক মাস বাড়িতেই আটকে রাখেন। তার দেখাদেখি গ্রামের অনেক নারী মৌসুমি হাঁস পালন শুরু করেছেন।

২৮ জুন সকালে বাড়ির পাশের কাঁচা রাস্তায় প্রতিবেশী নারীদের সঙ্গে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে হাঁস কিনছিলেন শিরিনা। তিনি জানান, এ বছর হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন। শ’খানেক হাঁস কিনবেন। বিলে হাঁস যাওয়া নিয়ে কৃষকদের সাথে কখনো বিরোধ হয়নি। সবাই তাদের সহযোগিতা করেন। এখন তো গ্রামের সবাই হাঁস পালন করেন।

শিরিনা অভিযোগ করে বলেন, ‘নতুন নতুন রোগে প্রতি বছরই কিছু হাঁস মারা যায়। কিন্তু সরকারিভাবে হাঁসের চিকিৎসার জন্য কাউকে পাওয়া যায় না।’

jagonews24

তার দেখাদেখি প্রতিবেশী ওসমান শেখের স্ত্রী ববিতা মৌসুমি হাঁস পালন শুরু করেছেন। তিনিও এখন ৪০-৫০টি হাঁসের মালিক। এ বছর নতুন আর কিছু হাঁসের বাচ্চা তুলবেন।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে বিল এলাকায় হাঁসের পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রাকৃতিক খাবার পাওয়া যায়। এ কারণেই প্রতিটি বাড়িতে মৌসুমি হাঁস পালন করা হয়। গ্রামের মানুষ আষাঢ় মাসের শুরুতেই ফেরিওয়ালার কাছ থেকে হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ শুরু করেন।

আল-মামুন সাগর/এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।