আমন ধানে বিঘাপ্রতি বেশি ফলনের আশা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ১১:২৭ এএম, ০৭ নভেম্বর ২০২০
ফাইল ছবি

দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ। চারিদিকে সোনালি রঙের আমন ধানের মৌ মৌ গন্ধ। হেমন্ত এলেই বাংলার দিগন্তজোড়া প্রকৃতিতে ধানের সোনালি দৃশ্য নতুনমাত্রা যোগ করে। অবারিত প্রান্তরে শস্যের হাতছানি হাসি ফোটায় কৃষকের মুখে। আর নতুন ধানে নবান্ন তো কৃষকের জন্য এক আনন্দের উৎসব।

নতুন ফসল ঘরে উঠাতে বাংলার কৃষকরা আনন্দে মেতে উঠেছে। নওগাঁর পোরশায় আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। বর্তমান বাজারে ধানের দাম আশানুরূপ হওয়ায় কৃষকরা বেশ আমেজেই আছেন।

বিজ্ঞাপন

এবছর সঠিক সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় ধানের ফলন ভালো হচ্ছে। এজন্য ধানের উৎপাদন ভালো হবে বলে ধারণা করছেন চাষিরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর বিঘাপ্রতি ৪ থেকে ৫ মণ ধান বেশি হতে পারে বলে কৃষকরা ধারণা করছেন।

বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির উপর নির্ভর করে আমন ধান চাষবাদ করা হয়ে থাকে। ফলে বোরো আবাদের চেয়ে তুলনামূলক আমনের আবাদের খরচ কম হয়ে থাকে। আবহাওয়া ভালো থাকায় মাড়াইয়ের আগে কাটা ধান জমিতে শুকানো হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ধান গোলায় উঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণী। বিঘা প্রতি প্রায় ১৬-২০ মণ হারে ফলন হয়েছে। ভালো ফলন এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা।

উপজেলার বড়রনাইল গ্রামের কৃষক মমিনুর রহমান ও জালুয়া গ্রামের সমশের আলী বলেন, ধানে কীটনাশক বেশি ব্যবহার করার কারণে এবার উৎপাদন খরচ একটু বেশি হয়েছে। বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। ফলে ধান বিক্রি করে তাদের উৎপাদন খরচ উঠবে এবং এবারে তারা লাভের আশাও করছেন।

এছাড়াও চলতি মৌসুমে মাঠ থেকে ধান কাটা ও মাড়াই এর জন্য শ্রমিকদের বিঘাপ্রতি ৩ থেকে ৪ মণ ধান দিতে হবে। এসব খরচ বাদ দিলে দেখা যাবে কিছু লাভ থাকবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তারা আরও বলেন, ধার-দেনা করে ও বাজার থেকে বাকিতে কীটনাশক নিয়ে জমিতে প্রয়োগ করা হয়েছে। আর ধান বিক্রি করে দেনা শোধ করার কথা। বাজারে ধানের দাম ঠিক থাকলে দেনা পরিশোধ ও তাদের সংসার পরিচালনা করা সহজ হবে বলে তারা মনে করছেন।

পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম বলেন, এবারে উপজেলায় ১৬ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে আমন লাগানো হয়েছে। এক্ষত্রে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বিঘা প্রতি গড়ে ১৮ থেকে ২০ মণ। তবে বন্যার কারণে আমাদের এ উপজেলার কিছু এলাকায় ধান ডুবে যাওয়ায় ৮৩ হেক্টর জমিতে কোন ধান উৎপাদন হয়নি।

তারপরেও ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী। ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা বেশ খুশি।

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রমতে জেলার ১১টি উপজেলায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান রোপণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আব্বাস আলী/এমএমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।