ভোলায় তরমুজ

ফলনে রেকর্ড, দামেও খুশি চাষিরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ভোলা
প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ৩০ মার্চ ২০২৩

ভোলায় গত কয়েক বছর তরমুজের তেমন ফলন না হলেও এবছর বিগত ১০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে চড়া দাম থাকায় ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এবছর লাভবান হওয়ায় আগামীতে বেশি জমিতে তরমুজ চাষের পরিকল্পনা করছেন তারা।

এবছর ভোলার ৭ উপজেলায় ১৮ হাজার ৩৬৩ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। গত বছর হয়েছে ১১ হাজার ২৪৯ হেক্টর জমিতে। গত বছরের চেয়ে এবার তরমুজের চাষ বেড়েছে ৭ হাজার ১১৪ হেক্টর।

সরেজমিনে জানা গেছে, ভোলার চরাঞ্চলে কৃষকের সবুজ মাঠ ভরে আছে তরমুজে। মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্ষেতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন না হওয়ায় এবছর ভোলার ৭ উপজেলায় তরমুজের ব্যাপক ফলন হয়েছে। তরমুজের এমন বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। তাই দলবেঁধে উৎসাহ নিয়ে ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলতে ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

আরও পড়ুন: তরমুজের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

সদর উপজেলার ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন গাজীপুর চরের কৃষক মো. শাহাবুদ্দিন ফরাজী জানান, তিনি প্রতি বছরের মতো এবারও এই চরে ১৭ একর জমিতে প্রায় ১৪ লাখ টাকা খরচ করে তরমুজের চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৪ লাখ টাকার তরমুজ পাইকারি বাজারে বিক্রি করেছেন। এখনো ক্ষেতে যে পরিমাণ তরমুজ আছে, তাতে তিনি আরও ১২-১৩ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।

কৃষক মো. ঝন্টু, শাহানুর পাটওয়ারি ও মো. রাসেল জানান, গত কয়েক বছর তাদের তরমুজের ফলন তেমন হয়নি। এবছর মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্ষেতে রোগ ও পোকমাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় তরমুজের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এবছর যে ফলন হয়েছে, তা গত ১০ বছরেও পাননি বলে দাবি করেন তারা।

কৃষক মো. শেখ ফরিদ ও আব্দুর রহমান জানান, বর্তমানে পাইকারি বাজারে ৫ কেজি ওজনের ১০০ তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ হাজার টাকা ও প্রায় ১০ কেজি ওজনের ১০০ তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ হাজার টাকা। বাজারে তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন তারা। আগামীতে বেশি জমিতে তরমুজ চাষের পরিকল্পনা আছে বলে জানান তারা।

আরও পড়ুন: বেড়েছে তরমুজ চাষ, ভালো বিক্রির আশা কৃষকের

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন, ‘বর্তমানে বাজার দাম ভালো থাকায় কৃষকরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। এবারের সফলতা দেখে আগামীতে বেশি জমিতে তরমুজ চাষে আগ্রহী হবেন। এতে জেলায় তরমুজের আবাদ বাড়বে। আগামীতেও কৃষকদের পাশে থাকবে কৃষি বিভাগ।’

জুয়েল সাহা বিকাশ/এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।