জাতীয়

বার্ন ইনস্টিটিউটে স্বজনদের ভিড়, চাপ সামলাতে হিমশিম পুলিশ-আনসার

রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের আনা হয়েছে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। একের পর এক অ্যাম্বুলেন্সে করে আসছে দগ্ধরা। তাদের সঙ্গে আসা স্বজনদের ভিড় আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বার্ন ইনস্টিটিউটের মূল চত্বর। স্বজনদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

সোমবার (২১ জুলাই) জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দেখা যায় এমন চিত্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত শতাধিক দগ্ধ রোগী ভর্তি হয়েছেন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিপুল সংখ্যক রোগীর স্বজনদের ভিড়ের কারণে চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন পুলিশ, আনসার সদস্য ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বার্ন ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থানরত এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, এত মানুষ একসঙ্গে এসেছে যে আমরা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি না। অনেকে কান্নাকাটি করছে, কেউ স্বজনের খোঁজে হাহাকার করছে।

আরও পড়ুন

ছুটির পর বাচ্চাদের ক্লাসরুম থেকে বের করছিলাম, হঠাৎ আগুনে ঝলসে যাই আহত আরও এক শিক্ষার্থীর জাতীয় বার্নে মৃত্যু

এর মধ্যেই কোনো অ্যাম্বুলেন্স এলেই বাঁশি দিয়ে সরিয়ে দোওয়া হচ্ছে স্বজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের। দগ্ধদের দ্রুত নেওয়া হচ্ছে জরুরি বিভাগে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইনডোর ও ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ক্রিটিক্যাল দগ্ধ রোগীদের। অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি কনফারেন্স রুম ও স্টাফ ওয়ার্ডও চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বারবার অনুরোধ জানাচ্ছে, যেসব রোগীদের অবস্থা স্থিতিশীল, তাদের স্বজনরা যেন হাসপাতালে ভিড় না করে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখেন। এতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে না এবং পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক থাকবে।

ইএআর/কেএসআর/এমএস