আন্তর্জাতিক

ফাইটার জেট নির্মাতাদের ধর্মঘটে বোয়িং কারখানায় উৎপাদন বন্ধ

যুক্তরাষ্ট্রে বোয়িংয়ের ফাইটার জেট নির্মাণ শাখার তিনটি কারখানায় ধর্মঘটে নেমেছেন প্রায় ৩ হাজার ২০০ কর্মী। কোম্পানির চার বছরের প্রস্তাবিত শ্রমচুক্তি প্রত্যাখ্যান করে রোববার (৩ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে ধর্মঘট শুরু করেন তারা।

মিসৌরির সেন্ট লুইস ও সেন্ট চার্লস এবং ইলিনয়ের মাসকাউটাহ শহরের বোয়িং কারখানাগুলোর কর্মীরা এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন। ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব মেশিনিস্টস অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ওয়ার্কার্স(আইএএম)।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, ৩ হাজার ২০০ দক্ষ আইএএম সদস্য বোয়িং কারখানায় ধর্মঘট করেছেন। কারণ আর সহ্য করা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন>>

বোয়িং থেকে ২৫ যুদ্ধবিমান কিনছে ইসরায়েল ভারতে প্লেন বিধ্বস্তের পরপরই বোয়িংয়ের শেয়ারে পতন ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করবে বোয়িং

এর আগে কর্মীরা যে চুক্তির খসড়া প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, তাতে চার বছরে ২০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব ছিল। এরপর বোয়িং একটি সংশোধিত প্রস্তাব দেয়, তবে সেটিও প্রত্যাখ্যাত হয়।

আইএএমের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্যাম চিচিনেল্লি বলেন, এই কর্মীরাই আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য প্লেন ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেন। তাদের এমন একটি চুক্তি প্রাপ্য, যা তাদের পরিবার ও দক্ষতাকে সম্মান জানায়।

বোয়িং-এর পক্ষ থেকে এরই মধ্যে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ‘এয়ার ডমিন্যান্স’ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যান গিলিয়ান বলেন, এই প্রস্তাবটি গড় বেতন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছিল এবং বিকল্প কাজের সময়সূচি নিয়ে উদ্বেগের সমাধান করেছিল। তবু প্রত্যাখ্যাত হওয়া হতাশাজনক।

তিনি জানান, উৎপাদন চালিয়ে নিতে কোম্পানি বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বোয়িংয়ের সুনাম বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ৭৩৭ ম্যাক্স প্লেনের দুটি দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন নিহত হন। এছাড়া, ২০২৫ সালের জুনে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ২৬০ জন প্রাণ হারান।

এতসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বোয়িং চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান ৬১১ মিলিয়নে নামিয়ে এনেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।

সূত্র: ইউএনবিকেএএ/