অর্থনীতি

ডিসেম্বরেই বিদেশিদের কাছে নতুনভাবে তুলে ধরা হবে তিন টার্মিনাল

 

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া, বে টার্মিনাল ও এনসিটিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা হবে।

রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে তিনি বন্দরের ৪ নম্বর গেটের কাছে ‘শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক এজেন্ট ডেস্ক’ উদ্বোধন করেন।

বিডা চেয়ারম্যান বলেন, গত বছরের জুলাই মাসে লজিস্টিক্যাল সমস্যার কারণে বড় ধরনের জট তৈরি হয়েছিল, যা ব্যবসায়ীদের জন্য উদ্বেগের কারণ ছিল। ইনভেস্টমেন্ট সামিট থেকে শুরু করে আমরা বলে আসছি, দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানো জন্য বন্দরগুলোকে গ্লোবাল ফ্যাক্টরিতে রূপান্তর করতে হবে।আর এটা করতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরকে একদম চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রস্তুত করতে হবে। এই বন্দরের সক্ষমতাকে ১০০% - ১৫০ % এ উন্নীত করতে হবে। আর সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।

বিডা চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এটি যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান অচল হয়ে পড়বে এবং আমাদের উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত হবে।তিনি জানান, চিটাগং ড্রাইডকের দায়িত্ব গ্রহণের পর কনটেইনার হ্যান্ডলিং ৩০ শতাংশ বেড়েছে এবং সময় কমেছে ১৩ শতাংশ, যা একটি অত্যন্ত ইতিবাচক লক্ষণ।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময় বলে এসেছি যে, দেশের বন্দরগুলো গ্লোবাল র‍্যাংকিংটা এক নম্বরে থাকতে হবে। আর এটা আমাদের নিজেদের স্বার্থের কারণেই।এর আগে বন্দরের কার্যকারিতা বাড়াতে আমরা একটি সফটওয়্যার সিস্টেম চালু করেছি। এর ফলে যে কাজটি করতে আগে ২-৭ দিন সময় লাগতো, এখন তা মুহূর্তেই সম্পন্ন করা যাবে। এতে একদিকে যেমন কাজের গতি বাড়বে, অন্যদিকে দুর্নীতিও কমবে।

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মোট বন্দরের ধারণক্ষমতা ৪-৫ গুণ বাড়ানোর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে আর বাংলাদেশ পিছিয়ে যাচ্ছে।এর একটা প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশে ৫ বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয় ১৫ বছরে।

তিনি দ্রুতগতিতে কাজ করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে চাই। ডিসেম্বরের মধ্যে বড় বন্দরগুলো নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্পন্ন করতে চান।

এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মুনিরুজ্জামান, বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক এবং বিডা ও নৌ-পরিবহন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর বিডা চেয়ারম্যান কেইপিজেড গ্রিন চ্যানেল (এফ শেড) পরিদর্শন করেন এবং পরে সিপিএআর গেটে ভেহিকল ও কনটেইনার ডিজিটাল ডেস্ক উদ্বোধন করেন।

কেএইচকে/জেআইএম