চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটের উভয় পাশে ১০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের সিটি গেইট থেকে মাদামবিবির হাট পর্যন্ত যানজট রয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির কারণে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে অবরোধ তুলে নিলেও সড়কের দুই পাশে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট, ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো যাত্রী।
দুপুর ১২টার দিকে মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা। এতে শত শত কর্মকর্তা অংশ নেন।
অবরোধকারীরা অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৪০০ কর্মকর্তাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৪-৫ হাজার কর্মকর্তাকে ওএসডি করে কর্মস্থলে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন, পরিবার নিয়ে পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।
এর আগে শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলন করে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা রোববার থেকে টানা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে শনিবার সকাল থেকেই মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের আন্দোলন শুরু হয়।
অন্যদিকে মহাসড়ক অবরোধের কারণে চট্টগ্রামমুখী ও ঢাকামুখী যানবাহন দীর্ঘ সময় আটকে পড়ায় সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন। অনেকে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন- নানার ঘরে মামা-ভাগনের ইয়াবা সেবন, ভিডিও ভাইরালযমুনা সেতু মহাসড়কে ডাকাতির ভিডিও ভাইরাল, পুলিশ বলছে গুজবব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত মদপানে দুইজনের মৃত্যু
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সড়কে যাতায়াত করা ইফতেখার রুমন্ত বলেন, শহর থেকে বাড়ি যাচ্ছিলাম। ফৌজদারহাট পর্যন্ত যাওয়ার পর অবরোধের কারণে গাড়ি আর যাচ্ছে না। পরে বিকল্প পথে শহরে চলে যাচ্ছি।
বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল হান্নান বলেন, বারইয়ারহাট থেকে বাসে উঠেছি চট্টগ্রামের জিইসি যাওয়ার জন্য। মাদামবিবিরহাট যাওয়ার পর গাড়ি যানজটে আটকা পড়েছে। এখনো গাড়িতে বসে রয়েছি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের টিআই রফিক আহমেদ মজুমদার বলেন, রাস্তা অবরোধের কারণে ফৌজদারহাটের উভয় পাশে ১০ কিলোমিটার যানজট দেখা দিয়েছে। অবরোধ তুলে নিয়েছে, আশা করছি এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এম মাঈন উদ্দিন/এফএ/এএসএম