স্পর্শ কখনো কখনো শুধুই স্পর্শ নয়। তার মধ্যে থাকে বিকৃতি কিংবা দুরভিসন্ধি। তাই তো শিশুদের ছোটবেলা থেকেই কোন স্পর্শ ভালো কোন স্পর্শ খারাপ (গুড টাচ-ব্যাড টাচ) তা বোঝা জরুরি। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি শুধু কাগজে-কলমে পড়িয়ে নয়, সহজভাবে মেশার মাধ্যমেও বাচ্চাদের শেখানো যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন ভারতের এক শিক্ষিকা। তিনি ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের অত্যন্ত সাবলীলভাবে শিখিয়েছেন ভালো ও খারাপ স্পর্শের মধ্যে পার্থক্য। তার সেই পাঠদান পদ্ধতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে নেটদুনিয়া।
বর্তমানে যুগে ছোট থেকেই সমাজের ভালো-খারাপ বিষয়গুলোর সঙ্গে শিশুদের পরিচয় করানো জরুরি। শুধু জেনে রাখাই নয়, প্রয়োজন যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করার সঠিক শিক্ষাও। আর শিশুদের বাবা-মা ও শিক্ষক-শিক্ষিকার চেয়ে ভালো শিক্ষা আর কেই বা দিতে পারে!
আরও পড়ুন>> স্কুল কামাই না করেই ৫০ দেশ ঘুরেছে ১০ বছরের অদিতি
সম্প্রতি এক ভারতীয় শিক্ষিকাকে ক্লাসে শিশুদের সহজভাবে ‘গুড টাচ-ব্যাড টাচ’-এর শিক্ষা দিতে দেখা গেছে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এতে দেখা যায়, কোনো একটি স্কুলে শিশুদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাঠ দিচ্ছেন এক শিক্ষিকা। ছাত্রছাত্রীরা মন দিয়ে শিখছে ‘গুড টাচ-ব্যাড টাচ’-এর পার্থক্য। শুধু মৌখিকভাবে নয়, রীতিমতো বাচ্চাদের কোলে তুলে স্নেহের পরশ দিয়ে শেখাচ্ছেন শিক্ষিকা। তার সেই সাবলীলভাবে শেখানোর পদ্ধতিতে মুগ্ধ হয়েছেন সবাই।
This teacher deserves to get famous This should be replicated in all schools across India. Share it as much as you can. pic.twitter.com/n5dx90aQm0
— Roshan Rai (@RoshanKrRaii) August 8, 2023আজকাল ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে শিশুরা বিভিন্ন ধরনের যৌন হেনস্থার শিকার হয়। তাই যৌন শিক্ষার প্রয়োজন অনুভব করছে প্রশাসনও। এ কারণে কোন স্পর্শে কুমতলব রয়েছে তা বুঝতে পারা এবং বোঝার সঙ্গে সঙ্গে জোর গলায় প্রতিবাদ করার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন ওই শিক্ষিকা।
আরও পড়ুন>> বৃষ্টিতে এক ছাদের নিচে আশ্রয় নিলো মানুষ ও হরিণের পাল
ভিডিওতে দেখা গেছে, শিক্ষিকা যখন ছোট্ট এক ছাত্রীর বুকে ও ঊরুতে হাত দেন, তৎক্ষণাৎ মেয়েটি হাত নাড়িয়ে বোঝায় যে, এটি ‘ব্যাড টাচ’। এমনকি শিক্ষিকা যখন শিশুকে বলেন, ‘আমি তো ভালোবাসছি’, তখনো ছাত্রী জোর গলায় বলে, ‘না, এটি ব্যাড টাচ’।
এরপর আদর করে কাছে টেনে শিক্ষিকা বুঝিয়ে বলেন, বড় যে কোনো মানুষ এমন ব্যাড টাচ করলে সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদ করতে হবে।
আরও পড়ুন>> বাবা-মা, ৭ ছেলে-মেয়ের জন্মদিন একই তারিখে, বিশ্বরেকর্ড
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। শিক্ষিকার শেখানোর পদ্ধতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে সবাই। কেউ কেউ বলেছেন, এ ধরনের ভিডিওই ভাইরাল হওয়া দরকার।
আবার কেউ বলেছেন, স্কুলের জন্য অপেক্ষা নয়, শিক্ষা শুরু করতে হবে বাবা-মায়ের কাছ থেকেই।
সূত্র: এই সময়কেএএ/