স্কুল কামাই না দিয়েই ৫০ দেশ ঘুরেছে ১০ বছরের অদিতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৬ পিএম, ২২ জুলাই ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ১০ বছর বয়সে এক দিনও স্কুল কামাই না দিয়ে বিশ্বের ৫০টি দেশ ভ্রমণ করে সাড়া ফেলেছে অদিতি ত্রিপাঠী নামের এক শিশু। ইয়াহু লাইফ ইউকের প্রতিবেদন অনুসারে, অদিতি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিশু ও মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ লন্ডনে বসবাস করে।

জানা যায়, অদিতির বাবা দীপক ও মা আভিলাশা লন্ডনে পৃথক প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করেন। অদিতির জন্মের পর তাকে ভালো একজন পরিব্রাজক বা ভ্রমণকারী হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তারা। অদিতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা লাভ করুক- এটাই ছিল তাদের বাসনা। তবে এতে মেয়ের পড়ালেখায় যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।

স্কুল কামাই না দিয়েই অদিতি কীভাবে এতগুলো দেশ ঘুরে দেখলো, এমন প্রশ্নের উত্তরে দীপক ও আভিলাশা বলেন, প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার থেকে রোববার অদিতির স্কুল ছুটি থাকে। আমরা এ সুযোগকেই কাজে লাগাই। শুক্রবার আমরা মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি আর অধিকাংশ সময় রোববার রাত ১১টার পরে যেসব ফ্লাইট থাকে সেগুলোতে করে ফিরে আসি। এমনও হয়েছে, আমরা সোমবার সকালে পৌঁছেছি ও অদিতি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি স্কুলে গেছে।

তারা আরও বলেন, মাত্র তিন বছর বয়সে অদিতিকে নিয়ে আমরা প্রথম জার্মানি ভ্রমণ করি। সেসময় অদিতি নার্সারি শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। পরে নেপাল, ভারত ও থাইল্যান্ড ভ্রমণের সময় পুরো বিশ্ব ঘুরে দেখার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে সে। এরপর থেকে আমরা পৃথিবীর ৫০টি দেশে ভ্রমণ করেছি।

দীপক বলেন, প্রতি বছর ভ্রমণের জন্য আমাদের প্রায় ২০ হাজার পাউন্ড খরচ হয়। আমি, আমার স্ত্রী ও মেয়ে সারা বছর ধরে ভ্রমণের জন্য টাকা জমাই। আমাদের নিজের কোনো গাড়ি নেই। অধিকাংশ সময় পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করি। আমরা বাইরের দামি কোনো রেস্টুরেন্টে খেতেও যাই না। কারণ আমরা এখন আমাদের আরেক মেয়ে অদ্বিতার (২) জন্যও টাকা জমাচ্ছি।’

এ বিষয়ে অদিতির বক্তব্য, আমার কোনো নির্দিষ্ট পছন্দের দেশ বা স্থান নেই। তবে আমাকে যদি তিনটি বেছে নিতে হয়, তাহলে নেপাল, জর্জিয়া, আর্মেনিয়াকে বেছে নেবো। নেপাল আমার পছন্দের কারণ আমি সেখানে ঘোড়ায় চড়েছিলাম, ক্যাবল কারে চড়েছিলাম ও এভারেস্ট দেখার মতো চমৎকার অভিজ্ঞতা পেয়েছি।

‘আমি সত্যিই ভ্রমণ করতে পছন্দ করি ও বিভিন্ন দেশে অনেক মজার স্মৃতি রয়েছে। আমি অন্য শিশুদেরকেও বিশ্ব ঘুরে দেখার সুপারিশ করবো, কারণ এটি সত্যিই সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে ও অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে।’

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।