রবীন্দ্রনাথের মজার ঘটনা: গরু নাকি গোরু

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বানান সংস্কারের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিলো। সেই কমিটি বাংলা বানানের পুরোনো রীতি পাল্টে নতুন বানান রীতি চালু করে। কমিটি কাজটি করতে গিয়ে ‘গরু’ বানান নিয়ে সমস্যায় পড়ে।
কমিটি ঠিক করে যে ‘গরু’ বানানটি গরু না লিখে ‘গোরু’ লেখা উচিত। কারণ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃতের ‘গো’ শব্দ থেকে। আদিতে ‘ও’ কার, সেজন্য এখানেও ‘ও’ কার থাকা উচিত।
কিন্তু সমস্যা হয়েছে, প্রায় সব বাংলা ভাষাভাষী লেখক, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক সবাই ‘ও’ কার ছাড়া গরু বানান লেখেন। কিন্তু কী করা যায়!
কমিটির সিদ্ধান্ত হলো, এ ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের মত নেওয়া দরকার। দেখা যাক, উনি কী বলেন। কমিটির প্রধান ছিলেন ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। তার নেতৃত্বে কমিটির লোকজন চলল শান্তিনিকেতনে।
সেখানে গিয়ে তারা সাক্ষাৎপ্রার্থী হলেন কবির। কবি সাক্ষাৎ দিলেন এবং তাদের আগমনের হেতু জানতে চাইলেন। এরপর তাকে বিষয়টি বোঝানো হলো। বলা হলো, এ বিষয়ে আমরা আপনার মত জানতে এসেছি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কথাটি শুনে মৃদু হেসে বললেন, তা তোমাদের ও-কার দিয়ে গরু লেখার ব্যাপারে অন্তত একটি সুবিধাই হবে, আমাদের দেশের জীর্ণকায় হাড় জিরজিরে গরুগুলোকে অন্তত একটু মোটা ও তাজা দেখাবে!
লেখা: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।
কেএসকে/এসইউ/এএসএম