শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের মজার ঘটনা: গণেশের শুঁড়

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২২

বাংলা সাহিত্যের এক রসিক লেখক দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র। হাস্যরস ছিল তার জীবনজয়ের মন্ত্র। অসম্ভব চরিত্রের দৃঢ়তা, অনমনীয় মানসিক শক্তি, কঠোর কর্তব্যপরায়নতা। দাদাঠাকুর ছিলেন স্বভাব কবি এবং তীক্ষ্ণধী, সমাজ সচেতন লেখক। তবে দাদাঠাকুর সেসময় সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তার রসবোধের জন্য।

শরৎকালে দুর্গাপূজার সময় একবার দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের পুত্রর অসুখ হয়। স্বভাবতই দাদাঠাকুর চিন্তিত। তার স্ত্রী পূজার দিন সকালে প্রতিমা দর্শন করে এসে দাদাঠাকুরকে বললেন, ছেলের অসুখের জন্য মায়ের কাছে গিয়ে মানত করে এলাম। মাকে অনেক করে বলে এলান–মা, আমার ছেলেকে ভালো করে দাও, সামনের বছর তোমাকে ভোগ দেব।

স্ত্রীর এ কথা শুনে দাদাঠাকুর বললেন, ঠাকুরের কাছে গিয়ে মানত করার কী আছে? ছেলে ভালো হলে এমনিই হবে, তার জন্য ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন। তা তো করানো হচ্ছেই। তাছাড়া দুৰ্গা কী-ই বা করবেন! যিনি নিজের ছেলে গণেশের শুঁড় ভালো করতে পারেন না, তিনি তোমার ছেলেকে সারিয়ে তুলবেন কীভাবে?

লেখা: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।