বিজয় উদযাপনে স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত: ১১:৩৫ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

মহান বিজয় দিবস উদযাপন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নেমেছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই লাল-সবুজের পতাকা হাতে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা।

মহান এ দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো জনতার খণ্ড খণ্ড মিছিল আসে। তাদের দেওয়া নানা ধরনের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো সমাধি চত্বর।

বিজয় উদযাপনে স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল

অনেককেই দেখা গেছে দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলাতে। শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে তাদের হাতে ছিল নানা রঙের, নানা বর্ণের ফুল। আবার অনেকেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নীরবতা পালন করেছেন।

আশুলিয়ার শিমুলিয়া এলাকা থেকে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ফুল দিতে এসেছেন ময়নাল হোসেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কারণে দেশ পেয়েছি। আর এই দিনটিতে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।

ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শোয়াইব রহমান বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে। মাথায় পতাকা বেঁধে হাঁটছিলেন স্মৃতিসৌধের বেদির দিকে। বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আজ নানা জায়গায় হুমকির মুখে। স্বাধীনতা বিরোধীদের আস্ফালন। তাই এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যেন একটু বেশিই আবেগ অনুভব করছি। এজন্য বন্ধুদের সঙ্গে এসেছি শ্রদ্ধা জানাতে।

বিজয় উদযাপনে স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল

এর আগে সকালে মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক। এরপর থেকেই সর্বস্তরের জনতার ঢল নামে স্মৃতিসৌধে।

মাহফুজুর রহমান নিপু/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।