ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে রাবির প্রধান ফটক


প্রকাশিত: ০৭:০৭ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৬

বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় ব্যানারে প্রায় ঢাকা পড়ে গেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রধান ফটক। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যানার-ফেস্টুনগুলো টাঙিয়ে রাখায় প্রধান ফটকের সৌন্দর্য্যসহ স্বকীয়তা হারাচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীরা।

তবে দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যানারগুলো প্রধান ফটকে রাখা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এগুলো সরানোর তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি।

মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের প্রায় সবটুকু জায়গা জুড়েই ব্যানার-ফেস্টুনে ভরে গেছে। শুধু মূল ফটক নয় গেটের দুই পাশেও ভরে আছে ব্যানার-ফেস্টুনে। এর মধ্যে অধিকাংশ ব্যানার ফেস্টুনই স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের।

দেখা গেছে, ৫মার্চ মহানগর যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজশাহী জেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মাহমুদ হাসান ফয়সাল, যুবলীগ নেতা মো. নাহিদ আক্তার নাহান, মামুন অর রশিদ মাহবুব, নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা সবুর আলী বাবু, মো. সাব্বির আলী, ২৮ নং ওয়ার্ডের মো. শহীদুল ইসলাম মিলন, মো. আমিনুল ইসলাম শাহীন, রবিউল ইসলাম উজ্জলসহ নানা নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে।

এছাড়াও ফটকে সঙ্গীত বিভাগ, অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যান্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স, ইংরেজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিসংখ্যান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ব্যানার রয়েছে।

মকবুল হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, এইসব ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই ব্যানারগুলো প্রশাসনের সরিয়ে ফেলা  উচিৎ।

শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় এটাকে নেতিবাচক ভাবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরাও। মেহেরপুর জেলার গাংনী মডেল স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে আসা রফিকুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষক বলেন, আমরা স্কুলের বাচ্চা ছেলেদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে নিয়ে এসেছি। যাতে ওরা ছোটো থেকেই স্বপ্ন দেখতে পারে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠের প্রধান ফটকে রাজনৈতিক ব্যানারে ছেয়ে যাওয়ার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ছাদেকুল আরেফিন মাতিন এ বিষয়ে বলেন, এগুলো প্রায়ই সরানো হয়। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে ওরা আবার টাঙিয়ে রাখে। বিষয়টি প্রক্টরকে জানানো হবে। তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, এগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য বলা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।

রাশেদ রিন্টু/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।