ইবিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর স্থবিরতা কাটিয়ে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবনে সিনা অ্যাকাডেমিক ভবনে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে প্রশ্নের ধরন, পরীক্ষার প্রস্তুতি ও পূর্বঘোষণা নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

জানা যায়, ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক পদে ৪৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে ২৯ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে এক ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষা চলে। এতে বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশ্ন রাখা হয়। পরীক্ষা তত্ত্বাবধান করেন নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। বিকেল ৩টায় লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ শেষে উপাচার্যের বাসভবনে নির্বাচিত প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে প্রার্থীদের কেউ কেউ পরীক্ষার প্রশ্নের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও কয়েকজন প্রার্থী প্রশ্ন ও পরীক্ষার পূর্বঘোষণার সময় স্বল্পতা নিয়ে অসন্তোষ জানান।

ইবিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

পরীক্ষা শেষে এক প্রার্থী বলেন, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। প্রশ্নের মান স্ট্যান্ডার্ড ছিল। পরীক্ষার হলে তেমন কোনো অসংগতি লক্ষ্য করিনি। স্বচ্ছতার সঙ্গেই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আমি আশাবাদী।

অন্য এক প্রার্থী বলেন, প্রশ্ন বেশ কঠিন হয়েছে, তবে আমরা আগে দেখতাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ মার্ক সাবজেক্টিভ ও ২০ মার্ক বাংলাদেশ স্ট্যাডিস থাকতো। কিন্তু এবার আমরা দেখছি ৫০ মার্কই সাবজেক্টিভ। এখানে বাংলাদেশ স্ট্যাডিস বা এই ধরনের কোনো প্রশ্ন হয়নি। তবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি, সেখানে পূর্বের মতো পরীক্ষা হয়েছে।

আরেক প্রার্থী বলেন, একদিন আগে আমাকে জানানো হয়েছে। আসার ক্ষেত্রেও প্রস্তুতির একটা বিষয় থাকে। চাকরিজীবীদের অফিস থেকে ছুটি নিতে হয়। পরীক্ষার আগে অন্তত এক সপ্তাহ আগে জানালে আমাদের জন্য ভালো হতো। তাছাড়া দেখা যায় অনেকে বাইরে থাকে, ব্যস্ত থাকতে পারে। এই বিষয়টায় একটু সমস্যা হয়েছে। কী জন্য এমন হয়েছে প্রশাসন ভালো জানে ৷ তবে আমার মনে হয় এখানে কোনো বিষয় আছে।

এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নীতিমালা- লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা এবং অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট। আমরা এই তিনটির সমন্বয়ে সর্বোচ্চ মেধায় যে আসবে তাকে সিলেক্ট করবো। এখানে মেধা এবং যোগ্যতাই হবে মাপকাঠি; কোনো ধরনের রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে না।’

ইরফান উল্লাহ/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।