সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আন্দোলনে বশেমুরবিপ্রবির বিদেশি শিক্ষার্থীরা
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বশেমুরবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরাও।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বশেমুরবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্বরে শেষ হয়। এসময় বশেমুরবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত নেপালি, সোমালিয়ানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সাইন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের নেপালি শিক্ষার্থী অসমিতা কারকি বলেন, আমরা এই ভার্সিটিতে, এই শহরে নিরাপদ বোধ করছি না। আমাদের একটাই দাবি, আমাদের বোনের ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক।

একই বিভাগের নেপালি শিক্ষার্থী জিতু হাঙ্ক বলেন, আমরা নেপাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছি। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, তার বিচার চাওয়ায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাও হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা এখানে নিরাপদ বোধ করছি না। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক এটাই চাই।
এছাড়া কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের নেপালি শিক্ষার্থী বিবেক করণ, সোমালিয়ান শিক্ষার্থী মো. আদম বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হোক।

আজকের দিনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে বিকেল সাড়ে ৪টায় মুখে কালো কাপড় ও হাত বেঁধে প্রতিবাদ এবং সন্ধ্যায় ৭টায় ধর্ষকদের কুশপুতুল দাহ করা হবে। এর আগে সকাল ৭টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে পঞ্চম দিনের আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগ এলাকায় বন্ধুর সঙ্গে মেসে যাওয়ার সময় বশেমুরবিপ্রবির এক শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় স্থানীয়রা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে উপাচার্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ আহত হন অর্ধশতাধিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এমআরআর/এএসএম