জাবি শিক্ষকের স্ত্রী দাবি, চান সন্তানের স্বীকৃতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

প্রথম সন্তানের বয়স এক বছর ৩ মাস। এ সন্তানের স্বীকৃতির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা মা। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী ইকবালের দ্বিতীয় স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৩৫)।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের কাছে এ বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

এরআগে গতবছরের এপ্রিলে একই দাবিতে অভিযোগ দিয়েছিলেন সেলিনা আক্তার। তবে সেসময় পারিবারিক বৈঠকে মেহেদি ইকবাল শর্তগুলো মেনে নিলে অভিযোগপত্র প্রত্যাহার করেন ওই নারী।

অভিযোগপত্রে সেলিনা আক্তার দাবি করেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেহেদী ইকবালের সঙ্গে তার প্রথম বিয়ে হয়। সাতমাস বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকলেও পরে তালাক দেন মেহেদী। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ সামাজিক স্বীকৃতির শর্তে ২০২১ সালের জুনে পুনরায় তাদের বিয়ে হয় এবং একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেন। তবে সন্তানের মৌখিক ও কাগজে স্বীকৃতি দিলেও প্রকাশ্যে সামাজিক স্বীকৃতি জানাতে এবং একসঙ্গে বসবাস করতে অনীহা প্রকাশ করেন শিক্ষক মেহেদী ইকবাল।

উপাচার্যের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর সেলিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি পুনরায় চার মাসের গর্ভবতী। মেহেদী এখন আমাদের সঙ্গে ঠিকঠাক যোগাযোগ করে না। আমার ছেলেটির কয়েকদিন ধরে ১০৩ ডিগ্রির বেশি জ্বর। মেহেদীকে অনবরত কল এবং মেসেজ দিয়ে যাচ্ছি কিন্তু সে কোনো যোগাযোগ করছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে মাসে আমাদের ৩-৪ ঘণ্টা সময় দেয়। ভরণপোষণ সে দিচ্ছে কিন্তু প্রর্যাপ্ত নয়। এখনো দুইমাসের ঘরভাড়া বাকি। সে কেন এমন আচরণ করতেছে জানতে চাইলে সে কোনো উত্তর দেয় না। বিয়ের সময় জানতাম না সে বিবাহিত, পরে জেনেছি। দুইটা বিয়ে অনেকে করে, আমি সমান অধিকার চাই।’

‘দিনশেষে আমি একজন মা। আমার বাচ্চার ভবিষ্যত আমাকেই দেখতে হবে। পিতা হিসেবে সে কোনো দায়িত্বই পালন করছে না। আমি আমার চিন্তা করছি না। বাচ্চাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। আমি অনেকভাবে মেহেদীকে বুঝাইছি এর একটা সমাধানে বসি। সে কোনোভাবে রাজি না। সে আসলে কী চায় তা জানি না। সে আমাকে রাখবে কি রাখবে না সেটাও জানি না। যদি না রাখে সেটাও আমাকে বলুক। সে কিছুই বলে না। আমার এবং বাচ্চার পূর্ণাঙ্গ অধিকার চাই, দিতে হবে’, বলেন দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার সেলিনা আক্তার।

অভিযোগপত্রের বিষয়ে উপাচার্য নূরুল আলম বলেন, ‘এটা তাদের পারিবারিক ব্যাপার। আমি বলবো তারা এটা পারিবারিকভাবেই সমাধান করুক।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী অধ্যাপক মেহেদী ইকবালের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মাহবুব সরদার/এসআর

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।