র্যাগিংয়ের অভিযোগে পাবিপ্রবি ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ছাত্রী শিমু রানী তালুকদারকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে এক ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পুরো ঘটনা তদন্ত করে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটিকে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পাবিপ্রবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ- পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর নাম রুকাইয়া খাতুন। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
পাবিপ্রবির পক্ষ থেকে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, র্যাগিংয়ের শিকার হওয়া ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শিমু রানী তালুকদার ১৮ সেপ্টেম্বর ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর একটি আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে. এম. সালাহ উদ্দিনসহ ছাত্র উপদেষ্টা, সহকারী ছাত্র উপদেষ্টাবৃন্দ, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর ও সব বিভাগের সভাপতিরা।
আরও পড়ুন: মেসে গাঁজা সেবন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্র বহিষ্কার
সভার সিদ্ধান্তে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী অভিযুক্ত রুকাইয়া খাতুনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে পুরো ঘটনা তদন্ত করে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটিকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি সোমবার ছুটতে ছিলেন। এজন্য বিস্তারিত জানি না।
পাবিপ্রবির ছাত্র উপদেষ্টা নাজমুল হোসেন জানান, অভিযুক্ত ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার কার হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত টানা ৩ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে রব্বেজ টাওয়ারে (ছাত্রীনিবাস) রুকাইয়া খাতুনসহ সিনিয়র ছাত্রীদের হাতে ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শিমু রানী তালুকদার র্যাগিংয়ের শিকার হন। পরে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । এ নিয়ে সারা পাবনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আমিন ইসলাম জুয়েল/জেএস/জিকেএস