‌‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পূর্বশর্ত নিরাপদ-পুষ্টিকর খাদ্য’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক শেকৃবি
প্রকাশিত: ০৪:২৭ এএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

খাদ্য রপ্তানি বিশেষ করে কৃষিজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে অগ্রগামী হতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য।

শুক্রবার (২ ফেব্রুরারি) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) এক আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ অধিকতর উদ্যমী হলেও নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য জোগানের নিশ্চয়তা দিতে পিছিয়ে রয়েছে।

নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার রুমে বিসেফ, ভিএসও এবং শেকৃবির যৌথ প্রযোজনায় খাদ্য নিরাপদ নিয়ে বিতর্ক, কুইজ প্রতিযোগিতা, উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক অলোক কুমার পাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক কৃষি সচিব ও বিসেফ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ার ফারুক এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিসেফ’র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মিটন।

মূল প্রবন্ধে আতাউর রহমান মিটন বলেন, খাদ্য ব্যবস্থাপনা তথা ফুড সিস্টেমে জড়িত রয়েছে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও ২৪টি বিভাগ বা দপ্তর। প্রত্যেকেই নিজস্ব আইন, বিধি ও রুলস অব বিজনেস দ্বারা নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। লক্ষ্য অর্জনে কোনো সমস্যা দেখা দিলেই ‘উদোর পিণ্ডি’ গিয়ে চাপছে ‘বুদোর ঘাড়ে’। দায় দেওয়া হচ্ছে কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণে সবাই যেন মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ দরকার। সেটাই সম্ভবত সবার চাওয়া, কারণ খাদ্য এমন একটি বিষয় যা রাস্তার ভিখারি থেকে শুরু করে দেশের শীর্ষ ব্যক্তিটিরও প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, রূপকল্প ২০৪১ তথা উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। সরকারের এই রূপকল্প বা স্বপ্নীল প্রত্যাশা বাস্তবায়নে খাদ্যের নিরাপত্তাকে পেছনে নয়, সামনে আনতে হবে। অগ্রাধিকার দিতে হবে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিরাপত্তাকেও। এই খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে অন্যান্য মেগা প্রজেক্টের মতই।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের জলবায়ু ক্রমশই পরিবর্তন হচ্ছে। যার ফলে আমরা এই শীতের মধ্যেই বৃষ্টি দেখতে পাচ্ছি। এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গের অনেক স্থানে অতিরিক্ত কুয়াশা ও জলবায়ু পরিবর্তনে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। আমাদের ডেলটা প্ল্যানে দেখানো হয়েছে যে, ২০৪১ সালের মধ্যে সবজি এবং ফলের উৎপাদন ৮০ শতাংশ বেড়ে/কমে যাবে। ফসলের উৎপাদন নিশ্চিত করতে প্রচুর গবেষণা ছাড়া সেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব না। আমাদের গবেষণা যদি সীমিত রাখি, তাহলে অচিরেই বাংলাদেশে মঙ্গা তৈরি হবে।

তাসনিম আহমেদ তানিম/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।