নির্মাণাধীন ভবনের ছাদধস

রাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবস্থান

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০২:৩৩ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন ভবনের ছাদধসের ঘটনায় আহত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান, কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়িত্ব অবহেলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নির্মাণাধীন ভবন অনিরাপদ মনে করায় পুনরায় ভবনের গুণগতমান পরীক্ষার দাবিতে অবস্থা কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

এ সময় আমান উল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন নির্মাণের মান ঠিক আছে কিনা, ভবনটি টেকসই হবে কিনা এ বিষয়ে আমরা সন্দিহান। কারণ এরইমধ্যে একটি অংশ ধসে পড়েছে। আমাদের কাছে এ ভবনটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে। ভবন নির্মাণ হওয়ার পর আবার ভেঙে পড়তে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। তাই বুয়েট থেকে বিশেষজ্ঞ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এনে তদন্তসাপেক্ষে এর কাজ শুরু করা হোক। এছাড়াও এ ভবন ধসের ঘটনায় যেসকল শ্রমিক আহত হয়েছে তাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ভবন ধসের ঘটনাকে আমরা দুর্ঘটনা বলতে পারি না, এটি একটি চরম গাফিলতির ফল। দুর্নীতির ফলেই এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। যেসব কোম্পানি এসব কাজ করছে তারা বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের সঠিক নিয়মনীতি অনুসরণ করছে না। এদিকে নামে মাত্র তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়সারা কাজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ধরনের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে গেলে সেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের রাখতে হয়। আমরা চাই সঠিক তদন্ত কমিটি গঠন করে এ ভবনের কাজ শুরু করা হোক।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে ভবনধসের ঘটনা মর্মান্তিক। এখানে একটা নামমাত্র তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের মধ্যে কোনো সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নেই। কনস্ট্রাকশনের কাজ ভালো জানে এমন কেউ নেই তদন্ত কমিটিতে। নিরপেক্ষ বডি থেকে এই তদন্ত করা উচিত। মানুষ একটি রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মানুষের প্রাণকে কতটুকু মূল্য দিই? আজ যারা আহত হলেন তারা শ্রমিক না হয়ে শিক্ষার্থী হলে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে যেত।

অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মনির হোসেন মাহিন/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।