কেঁদে ও কাঁদিয়ে ফরিদপুর-২ আসন ছাড়লেন কৃষকদল নেতা বাবুল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৯:১১ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ফরিদপুর-২ আসন ছেড়ে ফরিদপুর-৪ আসনের জন্য কাজ শুরু করতে মাঠে নামছেন কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল। কেঁদে এবং কাঁদিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকা ছাড়েন তিনি। এসময় শহীদুল ইসলামকে ঘিরে তার সমর্থিত নগরকান্দা ও সালথার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এক পর্যায়ে শহীদুল ইসলাম নিজেও আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের কোনা গ্রামে নিজ বাড়িতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে নিজ নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান শহীদুল ইসলাম বাবুল। পরে ফরিদপুর-৪ আসনের (সদরপুর, চরভদ্রাসন ও ভাঙ্গা) বিএনপি ও কৃষক দলের নেতা-কর্মীরা তাকে বরণ করে নেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের বাড়ি ফরিদপুর-২ আসনে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২ আসনে কে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হবেন এ নিয়ে দুই জনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় কেন্দ্র থেকে শহীদুল ইসলাম ও শামা ওবায়েদের দলীয় প্রাথমিক পদসহ সকল পর্যায়ে পদ স্থগিত করা হয়। যদিও গত ১০ নভেম্বর উভয়ের ক্ষেত্রে এ স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে।

কেঁদে ও কাঁদিয়ে ফরিদপুর-২ আসন ছাড়লেন কৃষকদল নেতা বাবুল

অনুষ্ঠানে সদরপুর বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদিউজ্জামান, সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে শহীদুল ইসলাম বাবুলকে ফরিদপুর-৪ আসনে বিএনপির নেতা ও আগামী সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বরণ করেন নেন।

ফরিদপুর-২ আসনের নেতাকর্মীদের বিদায়কালে শহীদুল ইসলাম বাবুল বলেন, আমার জন্য কত মানুষ কষ্ট করছেন, কান্না করছেন। মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি বলে এত আবেগ ভালোবাসা পেয়েছি। আমার পদ স্থগিত হয়েছিল, আমি কাউকে কিছু বলিনি। শুধু আমার নেতা তারেক রহমানকে বলেছি, আপনি যা ভালো বোঝেন তাই করেন। তিনি জানেন ফরিদপুরের রাজনীতি কেমন, নগরকান্দার রাজনীতি কেমন।

তিনি বলেন, আমার নেতা তারেক রহমান আমাকে ফরিদপুর-৪ আসনের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আমি আমার নেতার কথা ফেলতে পারিনি। আমি জানি আপনাদের অনেক সমস্যা হবে। আপনাদের লাঞ্ছনা গঞ্জনা অপমান সহ্য করতে হবে। দয়া করে একসঙ্গে থাকবেন। কেউ কাউকে ছেড়ে যাবেন না। আপনারা যদি একসঙ্গে থাকেন, ঐক্যবদ্ধ থাকেন, আপনাদের বাদ দিয়ে রাজনীতি হবে না, নির্বাচন হবে না। যদি ভাগ হয়ে যায় তাহলে গঞ্জনা লাঞ্ছনা অপমান আপনাদের ওপর নেমে আসবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নগরকান্দা বিএনপির সভাপতি লিয়াকত হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ। এসময় সদরপুর, চরভদ্রাসন ও ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি, কৃষকদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এন কে বি নয়ন/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।