মুক্তিপণে রাজি হয়েও ছেলেকে জীবিত ফিরে পেলো না পরিবার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিখোঁজের একদিন পর ইটভাটার ঝোপ থেকে মো. বাইজিদ আকন নামে ৯ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুইড়া এলাকার সাহাবুদ্দিন হাজীর ইট ভাটার ঝোপের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. বাইজিদ আকন ফতুল্লা থানার ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার শাহানাজের বাড়ির ভাড়াটিয়া সাইফুল আকনের ছেলে।

এর আগে এই ঘটনায় পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফেরদৌস আলীকে (২৯) করিমগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ফেরদৌস আলী কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার খাকশ্রী থানার মো. মানিক মিয়ার ছেলে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, নিহত শিশু ও ঘাতক একই ভাড়া বাড়িতে পাশাপাশি বসবাস করতো। সোমবার সন্ধ্যার দিকে চটপটি খাওয়ানোর কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে ফেরদৌস রেলস্টেশনের বাসা থেকে বের হন। পরে রাত ১২টার দিকে নিহত শিশুর বাবাকে ফোন করে জানান ছেলেকে জীবিত পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে, অন্যথায় হত্যা করা হবে। তারা টাকা দিতে চাইলেও পরবর্তীতে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে নিহতের বাবা বাদী হয়ে নিখোঁজ জিডি করেন। জিডির সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ফেরদৌসকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দাপাইদ্রাকপুর ইটভাটার ঝোপ থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।