আত্মহত্যার হুমকি তরুণীর

ওর কথামতো স্বামীকে তালাক দিয়েছি, এখন সে পালিয়েছে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৪:৩৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

পরকীয়া প্রেমিকের প্রলোভনে স্বামীকে দেন তালাক। এখন সেই প্রেমিককে বিয়ের দাবিতে চারদিন ধরে তার বাড়িতে অবস্থান করছেন এক তরুণী (১৯)। এ ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে গেছেন মোরশেদ মিয়া (১৯) নামের ওই যুবক। এমনই ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের বৈষ্ণবদাস গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মোরশেদ মিয়ার বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড়। বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছেন তরুণী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে লেখাপড়ার সুবাদে বৈষ্ণবদাস গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে মোরশেদ মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চার বছর আগে মেয়েটিকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার। তার একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। তবে, মোরশেদ এখনো অবিবাহিত। বিয়ের পরও তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।

ওর কথামতো স্বামীকে তালাক দিয়েছি, এখন সে পালিয়েছে

প্রায় সাত মাস আগে মোরশেদের বিয়ের আশ্বাসে স্বামীকে তালাক দেন ওই তরুণী। এরপর ১৩ এপ্রিল সকালে মোরশেদ তাকে বাড়িতে ডেকে আনেন বিয়ের জন্য। কিন্তু পরে আর বিয়ে হয়নি। মোরশেদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এরপর থেকে চারদিন ধরে অবস্থান করছেন ওই তরুণী।

এ বিষয়ে তরুণীর ভাষ্য, ‘মোরশেদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের প্রেম। ওর কথা মতো আমি আমার স্বামীকে তালাক দিয়েছি। বিয়ের জন্য আমাকে ওর বাড়িতে ডেকে এনে সে পালিয়েছে। এখন আমি কোথায় যাবো? বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এই বাড়ি ছাড়বো না। মোরশেদ আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।’

অভিযুক্ত মোরশেদ মিয়ার মা বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি গ্রামবাসীদের কাছে এর বিচার চাই।’

তবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও এ বিষয়ে মোরশেদ মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সাদুল্লাপুরের রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় বিয়ে পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

এ এইচ শামীম/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।