ধুনটে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে হনুমান
বগুড়ার ধুনটে লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি মুখপোড়া হনুমান। খাদ্য সঙ্কটের কারণে দলছুট হয়ে হনুমানটি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার যমুনা নদীর বাঁধের ওপর ভান্ডারবাড়ি, পুকুরিয়া ও ভুতবাড়িসহ প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরছে হনুমানটি। মুখপোড়া হনুমান দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমেছে। হঠাৎ বাড়ির টিনের চালে হনুমানের দৌঁড়াদৌঁড়ি দেখে মানুষের নজর পড়ে। কখনও আমগাছের ডাল ধরে লাফিয়ে উঠে টিনের চালে। কখনও টিনের চালে বসে লোকজনের মুগ্ধতা উপভোগ করে হনুমানটি। তবে একে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কেরও কমতি নেই।
এলাকাবাসী কলা, বিস্কুট, বাদাম, কেক যা ছুঁড়ে দিচ্ছে সেটাই গ্রহণ করছে হনুমানটি। কেউ প্রাণিটির দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নানাভাবে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করছে। আবার কেউবা কারণে-অকারণে প্রাণিটিকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ছেন। ফলে প্রাণের ভয়ে নিজের স্থান বার বার পরিবর্তন করছে হনুমানটি।
উপজেলার ভান্ডারবাড়ি গ্রামের জাহিদ হাসান সাগর জানান, এলাকায় হঠাৎ করে দক্ষিণ দিকে থেকে হনুমানটির আগমন ঘটে। হনুমানটি খুবই বড় ও দেখে খুব ক্ষুধার্ত মনে হচ্ছিল। এটি খাবারের আশায় বারবার মাটিতে নেমে আসার চেষ্টা করছিল। কিন্তু মানুষের ভিড় দেখে আবার ভীত হয়ে ঘরের চালে ও গাছের ডালে উঠে আশ্রয় নেয়।

বগুড়া অঞ্চলে পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তীরের সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোস্তারি তাবাসসুম মিথিলা জানান, বনে খাদ্যের অভাবে হনুমানটি দলছুট হয়ে এ এলাকায় চলে এসেছে। এরা সারা দেশজুড়ে বিচরণ করে। হয়তো যেখান থেকে এসেছে সেখানে চলে যাবে। তবে প্রাণিটিকে বিরক্ত না করার আহবান জানান তিনি।
ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু বলেন, হনুমানটি নিরাপদ খাদ্য ও আশ্রয়ের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ হনুমানটি সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এলবি/আরএইচ/এএসএম