একতা এক্সপ্রেসে জন্ম নিলো ফুটফুটে এক নবজাতক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ এএম, ১০ মে ২০২৫

ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাওয়ার পথে আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেসে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন রিনা বেগম (২৫) নামে এক নারী।

রিনা বেগম ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বড়বাড়ী গ্রামের সেলিম আহম্মেদের স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রী দু‘জনই গার্মেন্ট শ্রমিক।

শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা ১৫মিনিটে ঢাকা-দিনাজপুর রুটের ফুলবাড়ী পার্বতীপুর স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে চলন্ত ট্রেনে ওই প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন। পরে ট্রেনটি দিনাজপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। সেখান থেকে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে মা ও নবজাতককে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে একতা ট্রেনে ননদকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে ঢাকা থেকে ঠাকারগাঁও পীরগঞ্জ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হন রিনা বেগম। ট্রেনটি ফুলবাড়ী স্টেশন অতিক্রম করে পার্বতীপুর স্টেশনে প্রবেশের আগেই রিনা বেগমের প্রসব ব্যথা শুরু হয়। এসময় ওই বগিতে থাকা পুরুষ যাত্রীরা বের হয়ে যান। সেখানে নারী যাত্রীদের সহযোগিতায় একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন ওই মা।

একতা এক্সপ্রেসে জন্ম নিলো ফুটফুটে এক নবজাতক

একতা ট্রেনের কন্ডাক্টার গার্ড তারেক মাহবুব জানান, সন্তান প্রসবের পর আমরা জানতে পারি। পরে পার্বতীপুর স্টেশনে পৌঁছালে আমরা তাকে রেলওয়ে হাসাপাতালে চিকিৎসা দিতে চাইলে ওই প্রসূতি মা রাজি হননি। পরে দিনাজপুর স্টেশনের সুপার এবিএম জিয়াউর রহমান স্যারকে খবর দেই। তিনি খবর পেয়েই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে রাখেন।

দিনাজপুর স্টেশনের সুপার এবিএম জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে স্টেশনে আসে। সেই অ্যাম্বুলেন্সে প্রসূতি মা ও নবজাতককে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠাই। বর্তমানে মা ও নবজাতক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসক নাজমুল হোসেন জানান, মা সুস্থ থাকলেও শিশুটি নির্ধারিত সময়ের আগে ভূমিষ্ঠ হয়েছে। নবজাতকটি শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এমদাদুল হক মিলন/এমএন/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।