তাপদাহে ঝরে পড়ার শঙ্কায় দিনাজপুরের বাজারে অপরিপক্ব লিচু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০১:১৮ পিএম, ১১ মে ২০২৫

দিনাজপুরে লিচু পরিপক্ব হতে এখনো প্রায় দেড় সপ্তাহ সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু বাজারে পাওয়া উঠতে শুরু করেছে মাদ্রাজি জাতের অপরিপক্ব লিচু। বাড়তি দামের আশায় ও তাপদাহে লিচু ঝরে পড়ার শঙ্কায় এসব অপরিপক্ব লিচু বাজারে তোলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। মৌসুমে প্রথম লিচু চোখে পড়ায় টক স্বাদের হলেও এসব লিচু কিনছেন ক্রেতারা।

রোববার (১১ মে) সকালে দিনাজপুরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন ফল ব্যবসায়ী দোকানে মাদ্রাজি জাতের লিচু সাজিয়ে রেখেছেন। এসব লিচু আধাপাকা ও অপরিপক্ব। ব্যবসায়ীরা ১০০ লিচু বিক্রি করছেন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। বছরের নতুন ফল হিসেবে এসব অপরিপক্ব লিচু কিনছেন অনেকে ক্রেতা।

শমশের আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, এ বছর প্রথম বাজারে লিচু চোখে পড়লো। তাই ৫০টা লিচু ১৫০ টাকায় নিলাম।

তাপদাহে ঝরে পড়ার শঙ্কায় দিনাজপুরের বাজারে অপরিপক্ব লিচু

আকাশ নামে আরেকজন ক্রেতা বলেন, নতুন ফল দেখে লোভ সামলাতে না পেরে ১০০ লিচু কিনলাম। কিন্তু এসব লিচু এখনও পরিপক্ব হয়নি। খেতে টক মিষ্টি, এখনও সময় লাগবে। তবুও নিলাম। মৌসুমি ফল হিসেবে।

বাজারে ফলের দোকানের কর্মচারী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দুই তিনদিন থেকে বাজারে লিচু উঠেছে। সকালে বাগানিরা কিছু করে লিচু নিয়ে আসছেন। মাদ্রাজি লিচুতে প্রচণ্ড গরমে লিচুর রং চলে এসেছে। তাই আগাম লিচু বিক্রি হচ্ছে। বোম্বে, চায়না থ্রি, বেদনা জাতের লিচু উঠতে এখনও সময় লাগবে। মাদ্রাজি জাতের লিচুর চাহিদা কম, বেচাবিক্রিও তেমন হচ্ছে না।

তাপদাহে ঝরে পড়ার শঙ্কায় দিনাজপুরের বাজারে অপরিপক্ব লিচু

সদরের মাসিমপুর এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, গরমে লিচু ফেটে যায় ও পড়ে যায়। এজন্য এখনই কিছু লিচু বিক্রি করে বাগানে লিচু কমিয়ে নিচ্ছি। এছাড়া শুরুতে বিক্রি করলে দামও বেশি পাওয়া যায়।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিচালক (শস্য) আনিছুজ্জাম বলেন, এখন বাজারে যেসব লিচু উঠছে তা পরিপক্ব নয়। বাজারে লিচু উঠতে এখনও প্রায় দেড় সপ্তাহ সময় লাগবে। সে সময় লিচুর সঠিক স্বাদ পাওয়া যাবে।

এমদাদুল হক মিলন/এমএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।