বন্যায় ফসলের ক্ষতি, ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা কৃষকদের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৪:৫২ পিএম, ১২ জুন ২০২৫

উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে কুড়িগ্রামের নদ-নদী অববাহিকার ফসলের ক্ষেত। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। তবে তারা থেমে যাননি। বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন চাষিরা। একই সঙ্গে ক্ষতি নিরূপণ করে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস কৃষি বিভাগের।

এক সপ্তাহের আগে ভারী বর্ষণের ফলে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় চরাঞ্চলের বিভিন্ন ক্ষেতের ফসল। ফলে পুঁজি রক্ষায় অপরিপক্ব ফসল তোলেন অনেক কৃষক। বর্তমানে পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন। আবার কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত পরিষ্কার করছেন।

বিজ্ঞাপন

কৃষকরা বলছেন, এবার অসময়ে বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলে আবাদকৃত প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমির ফসলের মধ্যে বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে ৩০০ হেক্টর জমির সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে কুড়িগ্রামের নদ-নদী অববাহিকার ফসলের ক্ষেত

রাজারহাট উপজেলার চর বিদ্যানন্দ গ্রামের কৃষক তারাজুল ইসলাম বলেন, আলুতে প্রায় চার লাখ টাকা লস করেছি। এবার অসময়ে বন্যা হয়ে গেলো। এতে করে এক একর জমির বাদাম প্রায় শেষ। এভাবে লস হলে আবাদ করা সম্ভব হবে না।

সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার কৃষক এরশাদ আলী বলেন, আমার পটল ক্ষেতে পানি ওঠে। পরে এক বিঘা জমির সব পটল গাছ মরে গেছে। ক্ষেতে পানি আসায় বড় ক্ষতি হয়েছে আমার। আর কয়টা দিন পর পানি এলে অনেক টাকার পটল বিক্রি করতে পারতাম।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মামুনুর রহমান জানান, বন্যায় নদ-নদী তীরবর্তী এলাকায় ফসলের ক্ষতি নিরূপণ করা হয়নি। নিরূপণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

রোকনুজ্জামান মানু/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।