চাঁদপুর

সিন্ডিকেটের কবলে ইলিশের বাজার, মূল্য নির্ধারণ চায় প্রশাসন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁদপুর
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ১৭ জুন ২০২৫

সিন্ডিকেটের কারণে চড়া চাঁদপুরের ইলিশ বিক্রি হয়। যে কারণে সাধারণ ক্রেতা ও স্থানীয়রা ইলিশের স্বাদ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ইলিশের মূল্য নির্ধারণের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের চিঠি দিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি গণমাধ্যমের হাতে আসে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশ সুস্বাদু এবং মানের দিক থেকেও অতুলনীয়। এর প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম জেলা ব্র্যান্ডিং হিসেবে চাঁদপুর জেলাকে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ হিসেবে সরকার স্বীকৃতি দেয়। ইলিশের সুস্বাদুটার সুযোগ নিয়ে চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী/আড়তদার নিজের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন। যা একেবারেই ক্রেতার নাগালের বাহিরে।

এমনকি চাঁদপুরের স্থায়ী বাসিন্দাদেরও অভিযোগ ইলিশের চড়া মূল্যের কারণে তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে।

ইলিশ চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলাতেও ধরা পড়ে। এতে জেলা প্রশাসন চাঁদপুর কর্তৃক ইলিশের মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও এর ফলপ্রসূ প্রভাব পড়বে না। চাঁদপুরের পাশাপাশি বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, নোয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠিসহ আরও অনেক সাগর তীরবর্তী জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে। নদী কিংবা সাগরে উৎপাদিত ইলিশে জেলেদের কোনো উৎপাদন খরচ লাগে না।

সিন্ডিকেটের কবলে ইলিশের বাজার, মূল্য নির্ধারণ চায় প্রশাসন

এরপরেও ইলিশের দাম অসাধু ব্যবসায়ী/সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত থাকে। যেহেতু ইলিশ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয়, সেহেতু ইলিশ আহরণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ইলিশের মূল্য নির্ধারণ প্রয়োজন।

চাঁদপুর মৎস্য ও বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার বলেন, ‘চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে যে পরিমাণ ইলিশের চাহিদা ওই রকম আমদানি হয় না। অল্প কিছু ইলিশ আসে যে কারণে দাম বেড়ে যায়। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। স্থানীয় পদ্মা-মেঘনায় আগের মত ইলিশ নাই। দিনে ৫-১০ কেজি ইলিশ আসে আড়তে। যে কেউ দাম নিয়ে মন্তব্য করতে হলে বাস্তবে এসে দেখতে হবে।’

চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, ‘মৎস্য বিভাগ বছরজুড়ে ইলিশ সরবরাহের তথ্য সংরক্ষণ করে। যদি কোনো সংস্থা মূল্য জানতে চায় তখন ওই সময়ের বাজার দর দেওয়া হয়। মূলত মৎস্য বিভাগ ইলিশের দর নিয়ে কাজ করে না। কাজ করে সরবরাহ নিয়ে।’

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ‘ইলিশের মূল্য নির্ধারণের জন্য বাস্তব চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

শরীফুল ইসলাম/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।