দক্ষিণ আফ্রিকায় নিহত

এমদাদুলের পাসপোর্টে পাকুন্দিয়ার ঠিকানা, এলাকায় মিলছে না পরিচয়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৬:৪৬ পিএম, ২২ জুন ২০২৫
দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতদের গুলিতে নিহত এমদাদুল হক

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির একজন এমদাদুল হক। পাসপোর্ট অনুযায়ী, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে। তবে ঠিকানাটি সঠিক কি-না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়েও এমদাদুল হকের পরিচয় মেলেনি।

পাসপোর্টে নিহতের বাবার নাম শফিকুল আলম ও মায়ের নাম তাসলিমা উল্লেখ রয়েছে। তবে ঠিকানা ধরে খোঁজ করতে গিয়ে হতাশ হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা।

এমদাদুলের পাসপোর্টে পাকুন্দিয়ার ঠিকানা, এলাকায় মিলছে না পরিচয়

মির্জাপুর গ্রামের তরুণ তাজুল ইসলাম বলেন, ‌‘আমি পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কাজ করি। এলাকার প্রায় সবাই আমার পরিচিত। তবে এমদাদুল হক নামের কাউকে চিনি না। ফেসবুকে ঘটনার খবর দেখে আমিও খোঁজ নিয়েছি কিন্তু এমন নামের কেউ এখানে নেই। নিহতের পরিবার থেকেও এখন পর্যন্ত কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’

চরফরাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, ঘটনার পর থেকে সাংবাদিক ও প্রশাসনের অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমি প্রতিটি ওয়ার্ডের মেম্বারদের বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু কেউ এমদাদুল হককে চেনেন না বা তার কোনো খোঁজ দিতে পারেননি। ওই নামে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা কেউ আমাদের গ্রামে নেই।

এমদাদুলের পাসপোর্টে পাকুন্দিয়ার ঠিকানা, এলাকায় মিলছে না পরিচয়

এদিকে, অনলাইনে পাসপোর্ট নম্বর যাচাই করে দেখা গেছে, জন্মনিবন্ধনের অনুয়ায়ী এমদাদুল হকের স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার মিরপুর এলাকার শেওড়াপাড়ায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের বুস্টারের ডিডোরেন্স এলাকায় একটি দোকানে ডাকাতি হয়। দোকানটি প্রবাসী বাংলাদেশি মনির হোসেনের। সেদিন দোকানে কর্মরত ছিলেন শরীয়তপুরের বিল্লাল হোসেন ও এমদাদুল হক। ডাকাত দল হঠাৎ হামলা চালিয়ে টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে। চলে যাওয়ার সময় গুলি চালিয়ে দুজনকেই হত্যা করেন তারা।

এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় কেউ নিহত হওয়ার বিষয়টি এখন পর্যন্ত প্রশাসনিকভাবে আমাদের কাছে নিশ্চিত হয়নি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।

এসকে রাসেল/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।