মাদারীপুর

বৈছাআ নেতাকে কুপিয়ে জখম, এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটি স্থগিত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ২৬ জুন ২০২৫

মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা ও সদর উপজেলার সমন্বয় কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ জুন) রাত ২টার দিকে এনসিপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।

এদিকে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হলেও বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে এনসিপির মাদারীপুর জেলা সমন্বয় কমিটি ও মাদারীপুর জেলার অধীনে থাকা সদর উপজেলা সমন্বয় কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। স্থগিতের অনুমোদন করেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। পরে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশনা অনুসারে মাদারীপুরে এনসিপির দুটি কমিটি স্থগিতের ঘোষণা করেন।

এর আগে মাদারীপুর জেলা ও সদর উপজেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটি স্থগিতের ঠিক আধা ঘণ্টা আগে জেলা এনসিপির ৫ নম্বর সদস্য মো. আব্দুল্লাহ আদিল মাহমুদ টুটুল ও ৬ নম্বর সদস্য রাতুল হাওলাদারকে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সদস্য পদসহ সব ধরনের সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, সম্প্রতি এনসিপির ৩১ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গঠনে ক্ষোভ জানিয়ে তা প্রত্যাখান করেন জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহ, সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহসহ অনেকে। জেলা কমিটি হওয়ার তিনদিন পর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলায় ২৬ সদস্যের এনসিপি আরও একটি কমিটি গঠন করে। পরে এ নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ শুরু হয়।

বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে মাদারীপুর শহরের বাদামতলা এলাকার ভুইয়া কমিউনিটি সেন্টারে এনসিপির কর্মী সভায় যোগ দেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহসহ জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা। সভা শুরুর আগে কমিউনিটি সেন্টারের ভেতরে মাসুম বিল্লাহর ওপর হামলা চালানো হয়। এই হামলার ঘটনায় মাসুম বিল্লাহর সহকর্মী আকাশ মাতুব্বর বাদী হয়ে ৮ জনের নামে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। তবে এই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করনি পুলিশ।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ব্যাপারে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এমএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।