চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে স্বস্তি
কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে অপরাধ দমনে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। সপ্তাহে দুদিন দুর্গম চরাঞ্চলের আকাশে ড্রোন উড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নজরদারি করা হচ্ছে।
নৌরুট ছাড়াও নজরদারির মধ্যে রয়েছে- জোড়গাছ হাট, রমনা ঘাট, কাঁচকোল, ফকিরের হাট ও চিলমারী ইউনিয়নের চরগুলো। এসব ঝুঁকিপূর্ণ রুটে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), নৌপুলিশ ও থানা পুলিশ টহল জোরদার করেছে।
এতে করে অনেকাংশে ডাকাতির প্রবণতা কমে এসেছে বলে জানায় পুলিশ। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
পুলিশ জানায়, বিভিন্ন সময় চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর রুটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই দুই রুটে হাটের দিনসহ অন্য দিনেও বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে। পুলিশের টহলের পাশাপাশি ড্রোন উড়িয়ে এ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নজরদারি করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, চিলমারীর জোড়গাছে সপ্তাহে রোব ও বুধবার গরুর হাট বসে। এদিন চিলমারীর চর এলাকাগুলো ছাড়া আশপাশের উপজেলা থেকে নৌরুটে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা যান। এসময় কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে নজরদারি বাড়ানো হয়।
গরু ব্যবসায়ী ছকমল হোসেন ও দেলদার হোসেন বলেন, আগে নদীপথে জোড়গাছ গরুর হাটে এলে ঝুঁকি ছিল। পরপর দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এখন পুলিশের কঠোর নজরদারি রয়েছে। ফলে আমরা নির্বিঘ্নে হাটে কেনাবেচা করতে পারছি।

চিলমারী নৌপুলিশ ফাঁড়ির স্টেশন ইনচার্জ (আইসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে যে কোনো অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, চিলমারী নদী বন্দর ও নৌরুটে অপরাধ প্রতিরোধের জন্য সার্বক্ষণিক ড্রোন দিয়ে মনিটরিং চলছে। অতিরিক্ত পুলিশি তৎপরতার কারণে নৌ ডাকাতি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
রোকনুজ্জামান মানু/জেডএইচ/এএসএম