নাহিদ ইসলাম

জুলাই সনদের আগে কোনো নির্বাচন ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৫
মাগুরায় পথসভায় বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। এই দেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদী দোসরদের জায়গা দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেছেন, জুলাই সনদ ঘোষণার আগে কোনো নির্বাচন ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে পদযাত্রা শেষে এক পথসভায় নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না

উপস্থিত জনতার উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‌‘আপনাদের সন্তানরা জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। আমরা আর কোনো দখলদার, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের হাতে এই দেশের শাসনভার তুলে দেবো না। ভিনদেশি প্রভুদের ইশারায় যারা কথা বলে, আমরা তাদের রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করবো।’

নির্বাচন ও সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ ঘোষণার আগে কোনো নির্বাচন ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। আগে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে। খুনিদের বিচার, সংস্কার ও জুলাই সনদ ঘোষণার আগে নির্বাচনের পাঁয়তারা করা হলে আবারও গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না

এরআগে দুপুর দেড়টার দিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে মাগুরায় পদযাত্রা শুরু করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। মাগুরা শহরের উপজেলা চত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি শহরের চৌরঙ্গী মোড় হয়ে ঢাকা রোড ঘুরে ভায়না মোড়ে এসে পথসভায় মিলিত হয়।

পরে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহর নড়াইলে যাত্রা করে। এরআগে ঝিনাইদহ সফর শেষে দুপুর ১২টার দিকে মাগুরা পৌঁছায় এনসিপি নেতাদের বহর।

শাহজাহান নবীন/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।