সুন্দরবনে দস্যু বাহিনীর হাতে ১০ জেলে অপহৃত, মুক্তিপণ দাবি
সুন্দরবনে মৎস্য প্রজনন মৌসুমে চোরাই পথে মাছ আহরণ ও অবৈধভাবে শুঁটকি তৈরি করতে গিয়ে বনদস্যু বাহিনীর হাতে অপহৃত হয়েছেন ১০ জেলে। অপহৃতদের কাছে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করেছে দস্যু করিম-শরিফ বাহিনী।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক এলাকা থেকে নৌকা ও শুঁটকিসহ চৌরাই পথে বনে প্রবেশকারী জেলেদের অপহরণ করে সশস্ত্র দস্যু গ্রুপটি।
সুন্দরবনের জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দস্যু গ্রুপকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে লোকালয় ফিরে এসেছেন মোংলার বকুলতলা গ্রামের জেলে অবজাল (৩২)। তিনি অবৈধভাবে বনে প্রবেশ ও মাছ শিকার করতে গিয়ে দস্যুদের হাতে অপহৃত হন। ৯ দিন বন্দি থাকার পর শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে মুক্তি পান তিনি।
সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা জেলে রামপালের শ্রীফলতলা গ্রামের আলম বলেন, তার সহযোগী জেলেরা মুক্তিপণ না দিতে পারায় দস্যু গ্রুপটির হাতে জিম্মি রয়েছে।
তিনি আরও জানান, কয়রা উপজেলার রাসেল (৩৫) নামের এক জেলে অপহৃতদের মধ্যে রয়েছেন।
এ বিষয়ে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের হাড়বাড়িয়া ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাকীন বিল্লাহ বলেন, নৌকাসহ শুঁটকি জব্দের ঘটনায় বন আইনে মামলা হয়েছে। রোববার সকালে জব্দ শুঁটকি আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সেখানে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উম্মুক্ত নিলামে বিক্রি করার কথা রয়েছে।
সুন্দরবনের চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, সুন্দরবনে অনুপ্রবেশকারী জেলে ও হরিণ শিকারি চক্রের তৎপরতা দমনে বনরক্ষীদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আবু হোসাইন সুম/এসআর/জিকেএস