লক্ষ্মীপুর

নদী ভাঙনের মুখে বাজার-ব্রিজ-সড়ক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এলাকায় ভুলুয়া নদীর ভাঙনে ব্রিজঘাট বাজার বিলীনের পথে। এছাড়া ওই বাজারের বয়ারচর ব্রিজের দুই পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। এতে রামগতি-নোয়াখালী যোগাযোগের অন্যতম সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে চলাচলের বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে দ্রুত ভাঙনরোধে ভুলুয়া নদী খনন, জিওব্যাগ ডাম্পিং ও বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে বাজারসহ সড়ক-ব্রিজ রক্ষার জন্য জোরালো দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বয়ারচর ব্রিজের দুই পাশের কিছু অংশে রাস্তায় বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজের দুই পাশে নদীর ডুবোচর রয়েছে। নদীতে ভাটা এলে পূর্ব পাশের চর দেখা যায়। এই চরের কারণে নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে। এতে ব্রিজের দক্ষিণ পাশে বাজারের অংশে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ব্রিজে ফাটলও দেখা দিয়েছে।

নদী ভাঙনের মুখে বাজার-ব্রিজ-সড়ক

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, চরের কারণে নদী গতিপথ পাল্টে বাড়িঘর, কবরস্থান গিলে খেয়েছে। ৫ শতাধিক কবর বিলীন হয়ে গেছে। এ অঞ্চলের মানুষ নানান দুর্ভোগের কবলে। সড়কটিতে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এখানে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রকে ঘিরে মৎস্য ব্যবসায়ীদের যে ব্যবসা রয়েছে তা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মাছ ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, ব্রিজের দুই পাশে বড় গর্ত সৃষ্ট হয়েছে। এ সড়কে ট্রাক চলাচল করে। এখন ঝুঁকি বেড়েছে। ব্রিজেও ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জমির উদ্দিন বলেন, ব্রিজঘাটটি ২০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছঘাট। কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয় এ ঘাটে। নদীর ডুবোচরের কারণে ভাঙনে বিলীন হয়। ঘটনাটি প্রশাসনকে জানিয়েও সুরাহা মিলছে না।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, ডুবোচরের কারণে নদী গতিপথ পরিবর্তন করেছে। যার কারণে সড়ক ও বাজারটি ভাঙনের মুখে। ডুবোচরটি অপসারণ করা গেলে নদীর গতিপথ ঠিক হয়ে যাবে। তাহলে বাজার ও সড়কটি রক্ষা পাবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবগত করা হবে।

কাজল কায়েস/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।