টানা বৃষ্টিতে রাজশাহীতে বাড়তি সবজির বাজার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: ১২:২১ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২৫

টানা বৃষ্টিতে ঊর্ধ্বমুখী রাজশাহীর সবজির বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম। একইভাবে চিংড়ি ও দেশি মাছের দামও বাড়তি। ব্যবসায়ীদের দাবি, টানা বৃষ্টির জন্য দাম বাড়ছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) সরেজমিনে রাজশাহীর সাহেব বাজারে গিয়ে দেখা যায়, করলা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা, পটল ৫০, কাঁকরোল ৮০, বেগুন ৬০, শসা ১১০-১৬০ টাকা। wSOvগা, পেঁপে ও কচুর দাম ৪০-৫০ টাকার মধ্যে থাকলেও গাজর ও টমেটোর দাম পৌঁছেছে ২০০ টাকায়।

সবজির পাশাপাশি মাছের বাজারেও লাগামছাড়া ঊর্ধ্বগতি। চিংড়ি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়। এক কেজি ওজনের রুই ও কাতলা আগে ছিল ২৫০ টাকা, বর্তমানে ২৮০ টাকা। বড় পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। সিলভার কার্প বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২৫০ টাকায়।

তবে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে মরিচের বাজারে। এক সপ্তাহ আগেও যা বিক্রি হচ্ছিল ৪০০ টাকায়, এখন তা নেমে এসেছে ২০০ টাকায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন টানা বৃষ্টির জন্যই বাড়ছে দাম। সাহেব বাজারের সবজি বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে গ্রামের অনেক ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে সরবরাহ কমে গেছে। আর সরবরাহ কমলে দাম বাড়বেই। আমরা ইচ্ছে করে দাম বাড়াচ্ছি না।

আরেক সবজি বিক্রেতা নুর আলম বলেন, এই সময়টা শাকসবজির মৌসুম নয়। তার ওপর বৃষ্টি লেগেই আছে। তাই পাইকারিতে দাম বাড়ছে, আমরা কেবল সেটা বিক্রি করছি।

টানা বৃষ্টিতে রাজশাহীতে বাড়তি সবজির বাজার

বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। সাহেব বাজারে বাজার করতে আসা গৃহিণী সালমা খাতুন বলেন, শুধু টমেটো-গাজর কিনতেই ৪০০ টাকা চলে গেলো। মাছ ধরতেই পারছি না। শুধু আলু আর ডাল খেয়েই চলতে হচ্ছে। এদিকে মাছের আমদানি কম থাকায় দাম বাড়ছে দাবি সাহেব বাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের।

মাছ বিক্রেতা লতিফ মিয়া বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে মাছের আমদানি অনেক কমেছে। বিশেষ করে বড় মাছ চাষের পুকুরে পানি উঠে গেছে। তাই দাম বাড়ছে।

অন্য এক মাছ বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, আমরা চাষিদের কাছ থেকেই কিনি। সেখানে দাম না কমলে আমরা কী করবো? চিংড়ি বা রুই সবই এখন আগুন দাম।

স্কুল শিক্ষক আবদুল কাদের বলেন, মাঝে মাঝে বাজারে এসে মনে হয় সব ছেড়ে গ্রামে চলে যাই। আয় বাড়ে না, বাজারে দাম বাড়তেই থাকে।

কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী রাফি হাসান বলেন, সবকিছুর দাম বাড়ায় আমরা মেসে আর ভালো খেতে পারি না। প্রতিদিন শুধু আলুর তরকারি খেয়ে থাকতে হয়। এতে আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে।

সাখাওয়াত হোসেন/এমএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।