জুলাই আন্দোলন

নিহতের এক বছর পর হৃদয়ের মরদেহ খুঁজতে তুরাগ নদীতে ডুবুরি দল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৫

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত কলেজছাত্র হৃদয়কে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার এক বছর পর তার মরদেহ উদ্ধারে গাজীপুর মহানগরীর কড্ডা ব্রিজ এলাকায় তুরাগ নদীতে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

নিহত হৃদয় (২০) টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কোনাবাড়ী এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।

নিহতের এক বছর পর হৃদয়ের মরদেহ খুঁজতে তুরাগ নদীতে ডুবুরি দল

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপস্থিতিতে তারা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মাসুদ পারভেজ। উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।

এর আগে এ ঘটনায় পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়। তার নাম মো. আকরাম হোসেন (২২)। তিনি গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিহতের এক বছর পর হৃদয়ের মরদেহ খুঁজতে তুরাগ নদীতে ডুবুরি দল

জানা গেছে, ৫ আগস্ট হৃদয় কোনাবাড়ী সড়কে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন শিল্প পুলিশের কিছু সদস্য। তারা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে চড়-থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি করলে সেখানেই তিনি মারা যান।

ওই ঘটনায় হৃদয়ের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনোবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে হুকুমের আসামি এবং অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

আমিনুল ইসলাম/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।